পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্রে বিশ্বে প্রথম, মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন বার্লিন
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: আবারও বিশ্বের সেরা খেতাবের মুকুট বাংলার মাথায়। রাজ্য সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সেই স্বীকৃতির পুরস্কার নিতে বার্লিনে যেতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলেন। এর আগে ২০১৭ সালে, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের সেরা হিসাবে স্বীকৃত হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে প্রায় ১১ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। এই নিয়োগপত্রগুলি রাজ্য সরকারের ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর করা হয়। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক বাংলার পরিচয় তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি গর্ব করে বলতে চাই, আমাদের সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল, আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম যে বাংলা হবে বিশ্বের সেরা। সারা বিশ্ব জয় করবে বাংলার সন্তানরা। এটা আমার জীবনের স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘কন্যাশ্রীর জন্য আমরা বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমাদের দুর্গাপূজা ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। তিন দিন আগে আমরা আরেকটি স্বীকৃতি পেয়েছি। সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে বাংলা প্রথম হয়েছে। পুরস্কার নিতে বার্লিন যাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী বছরের ২৩ মার্চ বার্লিনে পুরস্কারটি দেওয়া হবে। যদি সুযোগ পাই, গর্ব করার মতো কিছু থাকলে অবশ্যই যাব।
২০১৭ সালে, কন্যাশ্রী সেরার সেরা খেতাব জিতেছিল। নেদারল্যান্ডসের হেগে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সে সময় ৬২টি দেশ থেকে ৫৫২টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। সবাইকে পেছনে ফেলে সেরা হয় ‘কন্যাশ্রী’। পুরস্কার উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এই পুরস্কারটি উৎসর্গ করছি ৪০ লক্ষ মেয়েকে যারা এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছে। সম্মেলনের শেষে, মডারেটর ঘোষণা করেন যে কন্যাশ্রী জনসেবা উদ্ভাবনের জন্য প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে।