ASANSOL

” সুফল বাংলা ” প্রকল্প এবার পাড়ি দেবে বিদেশে, বিশ্বব্যাঙ্কের অনুদান ১৫০ কোটি টাকা

আসানসোল ও বার্ণপুরে দুটি স্থায়ী বিপনির উদ্বোধনে দুই মন্ত্রী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও দেব ভট্টাচার্যঃ রাজ্যের কৃষিজ বিপণন বিভাগের ” সুফল বাংলা ” প্রকল্প ( Sufal Bangla prakalpa ) এবার পাড়ি দেবে বিদেশে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক তারজন্য এগিয়ে এসেছে। তারা এরজন্য ১৫০ কোটি টাকার অনুদান দেবেও বলে জানিয়েছে। মঙ্গলবার আসানসোলে এই কথা বলেন রাজ্যের কৃষি তথা কৃষিজ বিপনন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী বেচারাম মান্না ( Becharam Manna ) । এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও বার্ণপুরে ” সুফল বাংলা ” প্রকল্পের দুটি স্থায়ী বিপনির উদ্বোধন করা হয়। এই উপলক্ষে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো এদিন দুপুরে। প্রদীপ জ্বালিয়ে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বেচারাম মান্না এবং রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক ,পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রানী মিশ্র, মানস দাস ও সুব্রত অধিকারী, পশ্চিমবঙ্গ এগ্রি মার্কেটিং কর্পোরেশনের এমডি কৌশিক সাহা, সুফল বাংলার প্রজেক্ট ডিরেক্টর গৌতম মুখোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ( সাধারণ) সঞ্জয় পাল ও ডিপিআরডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী।


মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসুত সুফল বাংলা প্রকল্প বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রশংসা পেয়েছে। তারা এই প্রকল্প বিদেশে নিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেই কারণে তারা ১৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে এখন সারা রাজ্যে মোবাইল বা ভ্রাম্যমাণ স্টল আছে ৩৫৭ টি। স্থায়ী বিপনি বা স্টলের সংখ্যা এখন ৫৮ টি। আগামী দিনে রাজ্যের সব ব্লক ও পুর এলাকায় এর স্টল করা হবে। আমরা চাই কৃষকরা তার উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পান। পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরা ন্যায্য মূল্যে জিনিস কিনতে পারেন। পাশাপাশি এর থেকে কর্মসংস্থানও হচ্ছে। মন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্যে এখন যে ১৮৬ টি কৃষক মান্ডি আছে তার মধ্যে ৯২ টি থেকে এই প্রকল্পে জিনিস কেনা হচ্ছে। এরজন্য ১০০০ টি ফার্মা প্রডাক্ট গ্রুপ তৈরী করা হয়েছে। ৫৫ লক্ষ কৃষক পরিবার ও ২ কোটি মানুষ সুফল বাংলা প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছেন।


মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য রাজ্যে সবক্ষেত্রেই কর্মসংস্থান বাড়ানো। কৃষি দপ্তর তার মধ্যে অন্যতম। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনে যখন মানুষেরা কাজ হারাচ্ছেন, তখন এই বাংলায় মানুষেরা কাজ পাচ্ছেন।
এদিন রবীন্দ্র ভবনের অনুষ্ঠানের পরে দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও বেচারাম মান্না আসানসোল জেলের বিপরীতে ম্যাজিস্ট্রেট আবাসন এলাকা ও বার্ণপুরে আসানসোল পুরনিগমের বোরো অফিস চত্বরে দুটি বিপনির ফলক উন্মোচন ও ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন।

Leave a Reply