কুলটি পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বৈঠকের আয়োজন
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে কাটাতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
কুলটি পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে আসন্ন দুর্গাপূজা, মহাবীর ,নবী দিবস নিয়ে সোমবার বেসরকারি ভবনে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয় । সোমবার সন্ধ্যায় এলাকার সকল পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক।
এদিন এর এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিসিপি ওয়েস্ট অভিষেক মোদি , কুলটি থানা ইনচার্জ কৃষ্ণেন্দু দত্ত, নিয়ামতপুর ফাঁড়ি ইনচার্জ আখিক মুখার্জি , বরাকর ফাঁড়ি ইনচার্জ রাজশেখর মুখার্জি ,
কুলটি সেল সিনিয়র ম্যানেজার জিসান আলী, এমএমাআইসি ইন্দ্রানী মিশ্র , শাকতরিয়া ফাঁড়ি ইনচার্জ অজয় বাগ, চৌরঙ্গী ফাঁড়ি ইনচার্জ আলকেশ ব্যানার্জি, বরাকর আরপিএফ ইন্সপেক্টর পীযুষ কান্তি সাহা সহ বিদ্যুৎ দপ্তর , দমকল দপ্তর , স্বাস্থ্য দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও বিভিন্ন ক্লাবের কর্তারা । এছাড়াও কুলটি ব্লকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
এবছর কুলটি থানা এলাকায় মোট ১১৫ টি পুজো প্যান্ডেল হয় যার মধ্যে ৮৮ টি পুজোর
অনুমতি রয়েছে।এদিন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুজো উদ্যোক্তা দের সরাসরি জানিয়েদেন সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ এর উপর বিশেষ নজর দিতে হবে তাছাড়া প্রতিটি পুজো মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। কুলটি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তৈরি করা হবে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্ৰ ।
এদিনের বৈঠকে কুলটি থানা ইনচার্জ কৃষ্ণেন্দু দত্ত জানান সমস্ত পুজো মন্ডবে যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় তার জন্যে সমস্ত পুজো মন্ডবে স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে একইসাথে মন্ডবে প্রবেশ এর মুখ একটু বড় রাখতে হবে ।তাছড়া মন্ডবে আগুন নেভানোর যন্ত্র অবশ্যই জরুরি
তাছাড়া কোন ডিজে বা জোরে মাইক বাজানো যাবেনা ,প্রতি মন্ডবে রাত্রি থেকে সকাল পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক অবশ্যই রাখতে হবে ।
এদিন ডিসিপি অভিষেক মোদি জানান প্রশাসনের গাইডলাইন মেনেই আজকের এই বৈঠক এটি তৃতীয় তম পূজা বৈঠক যেখানে দুর্গাপূজা ,মহাবীরআখারা,ও নবী দিবস নিয়ে বৈঠক ।সকলে প্রশাসনের নিয়ম মেনে পুজো করলে পুরস্কার রাখা হয়েছে ।সকলকে নির্দিষ্ট নির্দেশ মেনে পুজো বিসর্জন , আখারা সহ নবিদিবস এর মিছিল বের করতে হবে ।
আরপিএফ এর তরফে জানানো হয় রেললাইন ঠিক মত যাতে পারাপার করে তার জন্যে বিশেষ বাবস্থা থাকবে ।