কালিপুজোর রাতে জাতীয় সড়কে পথ দূর্ঘটনা, মৃত দুই,, আহত ১
আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ কালিপুজোর রাতে আসানসোল শহরে মর্মান্তিক পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হলো দুই যুবকের। আহত হয়েছে আরো এক যুবক। তার চিকিৎসা আসানসোল জেলা হাসপাতালে চলছে বলে জানা গেছে। আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালের বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম প্রদীপ শর্মা (২২) ও দীপক ঠাকুর (২৪)। আহত যুবকের নাম রোহিত শর্মা। সে ঐ এলাকার বাসিন্দা। তিন যুবক সম্পর্কে নিকট আত্মীয়। স্বাভাবিক ভাবেই কালিপুজোর রাতে এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার জুবিলি মোড়ে ২ নং জাতীয় সড়কে।
এই ঘটনার পরে মঙ্গলবার ভোর চারটের সময় এই যুবকদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগ, রোগী সহায়তা কেন্দ্র ও সুপার স্পেশালটি হাসপাতাল ভবনে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এই তিন জায়গায় কাঁচের দরজা ও জানাল ভাঙা হয়। মঙ্গলবার সকালে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের তরফে আসানসোল দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, কি কারণে এই ভাঙচুর করা হলো বুঝতে পারছি না। তিন যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। চিকিৎসক তারমধ্যে দুজনের শারীরিক অবস্থা দেখে অন্য হাসপাতালে রেফার করেছিলেন। জেলা হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় তাদের মৃত্যু হয়। পরে তাদের আবার হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ব্রড ডেথ করা হয়। তারপর আচমকাই হাসপাতালে ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এদিন সকালে অঞ্জাত পরিচয় কয়েকজন ভাঙচুর করেছে বলে আসানসোল দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার প্রদীপ শর্মা, দীপক ঠাকুর ও রোহিত শর্মা মোটরসাইকেল করে কল্যানেশ্বরীতে বোনের বাড়িতে যায়। সেখানে জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষ করে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তারা আসানসোলে ফিরছিলো। তখন আসানসোল উত্তর থানার জুবিলি মোড়ে উড়ালপুলে পেছন দিক থেকে একটি চারচাকা গাড়ি তাদের ধাক্কা মারে। ধাক্কার জোর এতটাই ছিলো যে, এক যুবক ছিটকে উড়ালপুলের উপর থেকে নিচে রাস্তায় পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এলাকায় পৌঁছে তিনজনকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনজনকে মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিন যুবকের পরিবারের সদস্য জেলা হাসপাতালে আসেন। পরে প্রদীপ ও দীপককে বাড়ির লোকেরা দূর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু রাস্তায় তাদের মৃত হয়। তখন তাদেরকে আবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে দুই যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।