ASANSOL

কালকা মেলে আরএমএসএর কামরায় হানা আরপিএফ সিআইবির, উদ্ধার পাখি ও খরগোশ

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : রেলের আরপিএফ এর ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (সি আই বি) আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল কালকা মেলের মতো গুরুত্বপূর্ন ট্রেনের চিঠিপত্র বিভিন্ন স্টেশনে পাঠানোর জন্য রেলওয়ে মেল সার্ভিস বা আর এম এস এর কামরায় মাঝেমধ্যেই পাখি বা প্রাণীদের পাচার করা হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতেই শনিবার দিল্লি গামী হাওড়া কালকা মেলে রাত্রি দেড়টা নাগাদ হানা দেয় সিআইবি ইন্সপেক্টর ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বে সাদা পোশাকের এক বিশেষ দল। তারা সেখান থেকে খাঁচাতেই রাখা ৩০ টি তোতা পাখি ,৮০ টি বদরিকা পাখি এবং ১৫ টি খরগোশকে উদ্ধার করে । গ্রেপ্তার করা হয় ওই পাখিগুলি যারা নিয়ে যাচ্ছিল তেমন দুই যুবককে। এই দুজন হলো উত্তর আসানসোলের রেলপারের ওকে রোডের বাসিন্দা মোঃ ওয়াসিম এবং মোহাম্মদ আরবাজ।


আসানসোল ডিভিশনের আর পি এফ এর সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার রাহুল রাজ জানান গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইবি তথা ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ এর আধিকারিকরা আগে থেকেই আসানসোল স্টেশনে কালকা মেলের আর এম এসের কামরার অদূরে দাঁড়িয়ে নজর রাখছিল। ট্রেনটি আসানসোল থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সামান্য আগেই ওই যুবকরা পাখিদের এবং খরগোশদের খাঁচা নিয়ে আর এম এস কামরায় ওঠে । তাদের পিছনে পিছনে সিআইবির আধিকারিকরাও ওঠেন । ওরা দেখতে পায় দুই যুবক যথেষ্ট সংখ্যক টিয়া পাখি ,বদরিকা পাখি এবং খরগোশ নিয়ে উঠেছে।এই দুজনকে তারা আটক করে এবং পাখিগুলিকে উদ্ধার করে আসানসোল প্ল্যাটফর্মের আরপিএফ ওয়েস্ট থানার আধিকারিকের হাতে তুলে দেয় । এরপর ওই দুজনকে আদালতে পাঠায়। গ্রেপ্তার হওয়া আসানসোলের ওই দুজন জানিয়েছে তারা পাখিগুলো আসানসোল থেকেই কিনেছে এবং সেগুলো বিহারের গোমোতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অর্ডার ছিল।


ডি এফ ও বুদ্ধদেব মন্ডল বলেন আদালত থেকে এই পাখির বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মত পাখিগুলো ও খরগোশ গুলো নিয়ে তারা ব্যবস্থা নেবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে গতবছরে অন্তত তিনবার এলাহাবাদ বা উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ টিয়া পাখি কলকাতায় নিয়ে যাবার সময় আর পি এফ আসানসোলে ট্রেন থেকে উদ্ধার করেছিল। আরপিএফ সেগুলি বনদপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছিল ।ওই ঘটনাগুলিতে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছিল।

Leave a Reply