ASANSOL

” দুয়ারে সরকারের” শিবিরে এবারই প্রথম থাকছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম, গ্রাহকদের জন্য থাকছে বেশকিছু সুবিধা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ “দুয়ারে সরকারের ” শিবিরে এবার রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম হাজির থাকছে। এই সংস্থার প্রতিনিধিরা পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে সর্বত্রই মঙ্গলবার প্রথম দিন থেকে উপস্থিত ছিলেন। এবার রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমকে রাখার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো নতুন করে আবেদনের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ লাইনের নতুন কানেকশন দেওয়া । এই ক্ষেত্রে বলে দেওয়া হয়েছে, আবেদন করার তিন দিনের মধ্যেই কোটেশন দেওয়া হবে। সেই কোটেশন মতো টাকা জমা পড়লে চার দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে।


রাজ্য সরকারের এই দপ্তরের দুয়ারে সরকারের ক্ষেত্রে এটা যেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, তেমনিই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের পশ্চিম বর্ধমান জেলার রিজিওনাল ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা বিশ্বজিৎ বাগদী বলেন, দেখা গেছে, অনেকেরই দীর্ঘদিন ধরে ঠিক মতো বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারায় তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আবার চাষের জন্য সেচের কাজে ব্যবহার করার জন্য চাষিরাও অনেকেই ঠিকঠাক নিয়ম মেনে বিল জমা দিতে পারেননি। ফলে তাদেরও বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।


রিজিওনাল ম্যানেজার আরো বলেন, ডোমেস্টিক বা ঘরোয়া বিদ্যুৎ গ্রাহক যাদের টাকা বহুদিন বাকি আছে তারা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সাল পর্যন্ত বকেয়া বিলের ৫০ শতাংশ এককালীন দিয়ে দিলে বাকি ৫০ শতাংশ মকুব করা হবে। সঙ্গে সঙ্গে ৩১/১২/২০১৮ পর্যন্ত সমস্ত রকম সারচার্জ মুকুব করে দেওয়া হবে।
ব্যক্তিগত বা বেনিফিসারি কমিটি দ্বারা পরিচালিত শ্যালো, ডিপ টিউবওয়েল, আর এল আই সংক্রান্ত বিদ্যুৎগ্রাহক যাদের টাকা বহুদিন বাকি আছে তারা ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বিলের ৫০ শতাংশ এককালীন দিয়ে দিলে বাকি ৫০ শতাংশ মকুব করা হবে। এছাড়াও এই সময় পর্যন্ত তাদের সমস্ত রকম সার চার্জও মকুব করা হবে। তবে বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে দুয়ারে সরকারের নভেম্বর মাস জুড়ে যে শিবির হবে সেখানেই কেবলমাত্র আবেদনকারীদের এই সুবিধে দেওয়া হবে বলে পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে।


জানা গেছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৩ হাজারের মতো। তাদের মধ্যে প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এমন আছেন যারা বিলের টাকা না দিতে পারায় তাদের বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সেইসব গ্রাহকরা যদি দুয়ারে সরকারের শিবিরে গিয়ে আবেদন করেন ও তা যদি কার্যকরী হয় তাহলে কোটি টাকারও বেশি আয় এই জেলা থেকেই রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের হবে বলে জানা গেছে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে
রানিগঞ্জ ও বারাবনি ব্লকের পাশাপাশি জেলার অন্য ব্লকের মানুষেরা খুবই খুশি। তারা বলেন, আমরা এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে খুব খুশি । অবশ্যই আমরা দুয়ারে সরকারের শিবিরে গিয়ে আবেদন করে এই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করব। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রথম দিনই এই প্রকল্পে জেলায় প্রায় ১২৫ জন আবেদন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *