PANDESWAR-ANDALRANIGANJ-JAMURIA

খনি এলাকায় মাথা চাড়া দিয়েছে নতুন সিন্ডিকেট টন প্রতি নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ৩০০ টাকা, অভিযোগ জিতেন্দ্র তেওয়ারির

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ কোল ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা ইসিএলের কয়লাখনি এলাকার মাথা চাড়া দিয়েছে নতুন এক ” সিন্ডিকেট”। এই সিন্ডিকেটের তরফে ইসিএলের বিভিন্ন কয়লাখনি থেকে কয়লা তোলার জন্য যে সব ” সার্ভিস প্রোভাইডার ” বা ” লিফটার ” আছে তাদের কাছ থেকে প্রতি টন প্রতি ৩০০ টাকা অতিরিক্ত হিসাবে নেওয়া হচ্ছে। আসানসোল দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে ইসিএলের বিভিন্ন খনিতে সিন্ডিকেট এই টাকা দাবি করার পাশাপাশি বলছে, টাকা না দিলে, তারা এই কাজ করতে দেবেনা।
আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোলের জিটি রোডের গোধূলি মোড় সংলগ্ন আবাসিক অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই অভিযোগ করলেন।


তিনি বলেন, প্রতি মাসে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন কয়লা অনলাইনে বা ই-অকশনের মাধ্যমে ইসিএল বিক্রি করে। যারা এই কয়লা কিনে থাকে ইসিএল ডিপো থেকে কয়লা তুলে কয়লা ক্রেতা বা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কিছু লোক নিয়োগ করেন। তাদেরকে ” সার্ভিস প্রোভাইডার” বা ” লিফটার ” বলা হয়। তারা এই কাজের জন্য টন প্রতি কিছু টাকা নেয়। কিন্তু এখন একটি বিষয় সামনে এসেছে বা আমরা তা বিভিন্ন সূত্র মারফত জানতে পেরেছি। জিতেন্দ্র তেওয়ারি এই প্রসঙ্গে বলেন, সেটা হলো ঐ লিফটারদের থেকে প্রতি টন ৩০০ টাকা করে চাওয়া হচ্ছে। এটা করছে একটা সিন্ডিকেট। এরফলে খোলা বাজারে কয়লার দাম বাড়বে। যদিও কোল ইন্ডিয়া কয়লার দাম বাড়ায়নি। তিনি বলেন, এই বিষয়টা জানার পরে আমি গত ২৭ অক্টোবর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কোল ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি ও ইসিএলের সিএমডিকে চিঠি লিখেছি।

আমার আশা এই চিঠি দেখার পরে তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। এই অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমি প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, কিছু লোক বারবার অভিযোগ করছেন যে রাজ্যের প্রতিটি বিষয়ে ইডি ও সিবিআই হস্তক্ষেপ করছে। কিন্তু প্রাথমিক স্তরে অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন যদি কড়া ব্যবস্থা নেয়, তাহলে ইডি ও সিবিআইয়ের ঢোকার প্রয়োজন হবে না। এই বিজেপি নেতার আশা, তার তোলা এই বিষয়টি রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের পাশাপাশি সবাই সমর্থন করবেন ও তারা এই টাকা তোলা বন্ধ করা উচিত বলে মনে করবেন। তার মতে এটা বন্ধ না হলে শিল্পাঞ্চলের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির ওপর এর প্রভাব পড়বে। যদিও, জিতেন্দ্র তেওয়ারির তোলা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি ইসিএল, পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।

Leave a Reply