আসানসোলে শিশু দিবসে অভিভাবকদের সচেতন করতে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ “ শিশু দিবসে ” সাধারণ ও আনুষ্ঠানিক ভাবে শিশুদের কথাই ভাবা হয়। এই দিনটি পালনে যা করাই হোক না কেন, তা হয় শিশুদেরকে সামনে রেখে। কিন্তু এই শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়া বা তাদের বেড়ে উঠার পেছনে, সবচেয়ে বড় যাদের ভূমিকা থাকে বাবা ও মা বা অভিভাবকদের। তারপর টিচার্স বা শিক্ষকদের।
তাই সোমবার শিশু দিবসে সেই অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতন করতে এক অভিনব উদ্যোগ নিলেন স্নায়ু ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবাঞ্জন সাহা।
এদিন সকালে আসানসোলের সেনরেল রোড বা বিবেকানন্দ সরণীর সৃষ্টিনগরে ডাঃ সাহা’ স সাইকোলজি ক্লিনিক ও কাউন্সিলিং সেন্টারে শিশুদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য একটি ওয়ার্কশপ বা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে ৫০ জনেরও বেশী অভিভাবক তাদের শিশুদের এসেছিলেন। ডাঃ সাহা অভিভাবকদের হাতে কলমে শিখিয়ে দেন যে, তাদেরকে শিশুদের যত্নে কি কি করতে হবে। একবারে ফ্রিতে ডাঃ সাহা তাদেরকে কাউন্সিলিং ও স্ক্রিনিং করেন। বেশকিছু পরীক্ষাও এদিন করা হয়। একইসঙ্গে শিশুদের উপহার দেওয়া, তাদের খেলা ও ছবি আঁকার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো এই ক্লিনিকে।
পরে ডাঃ সাহা বলেন, শিশুদের জন্য কিছু করার সবার একটা পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু এটা মনে রাখা দরকার, শিশুদের সবচেয়ে কাছে থাকেন তাদের বাবা ও মা। তারপর শিক্ষকরা। এদের সরাসরি একটা প্রভাব শিশুদের উপর পড়ে। তাই আমি অভিভাবক ও শিক্ষকদের একটু সচেতন করার পরিকল্পনা করি। সেই মতো এদিন তাদেরকে বোঝালাম ও বললাম ঠিক কি কি কাজ করতে হবে। কোন রকম চাপ ও চিন্তা মনে রাখবেন না। কেন না, সেটাই সবার আগে শিশুর উপর পড়বে।
তিনি বলেন, করোনার দুবছরের ধাক্কা গোটা সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে পড়েছে। আমাদের অনেক স্বাভাবিক কাজে এর প্রভাব পড়েছে। বলা যেতেই পারে যে, শিশুদের মধ্যে এর প্রভাবটা বেশি পড়েছে। এটা কাটতে ও সব কিছু স্বাভাবিক হতে দেড় বা দুবছর লাগবে।