ASANSOL

আসানসোল ডিভিশনে ১৫ টি রেলস্টেশন কে আরো আধুনিক করে তোলার সিদ্ধান্ত

আগেই আসানসোল ,দুর্গাপুর, জসিডি সহ তিনটি রেলস্টেশন কে বিশ্বমানের করারও অনুমোদন মিলেছে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য : কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রীর পরামর্শ মেনে আসানসোল ডিভিশনে ১৫ টি মাঝারি ধরনের রেলস্টেশন কে আরো আধুনিক করে তোলার সিদ্ধান্ত নিল রেল কর্তৃপক্ষ। এর আগেই আসানসোল ,দুর্গাপুর, জসিডি সহ তিনটি রেলস্টেশন কে বিশ্বমানের করারও অনুমোদন মিলেছে।
যে ১৫ টি রেলস্টেশন কে যাত্রী পরিষেবা সহ আরো উন্নত মানের করা হবে বলে রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে আছে বীরভূমের সিউড়ি, পাণ্ডবেশ্বর ,দেওঘর,দুমকা,কুমারডুবি, সিতারামপুর ,চিত্তরঞ্জন ,বিদ্যাসাগর,জামতারা ,মধুপুর ইত্যাদি। আসানসোলের অতিরিক্ত ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার মুকেশ কুমার মিনা সোমবার এই খবর জানিয়ে বলেন এজন্য সর্বোচ্চ ৬ কোটি টাকা স্টেশন পিছু খরচ করা হবে ।


কিন্তু কেন রেলমন্ত্রী পরামর্শের কথা এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন উড়িষ্যার খুরদা রোড নামে একটি রেলস্টেশনকে অত্যন্ত আধুনিক এবং সুসজ্জিত করে তোলা হয়েছে । যা দেখে রেলমন্ত্রী বিভিন্ন রেলের জেনারেল ম্যানেজারদের নির্দেশ দিয়েছেন তারা তাদের জোনে কিছু কিছু স্টেশনে যেন এই ধরনের কাজকর্ম করেন । সেইমতই আসানসোল ডিভিশনে ১২ থেকে ১৫ টি রেল স্টেশন কে আমরা বেছেছি । কেমন হয়েছে খুড়দা রোড রেলস্টেশন তা দেখতে আমার নেতৃত্বে কয়েকজন আধিকারিক গিয়েছিলাম।
আমরা খুড়দা রোড রেল স্টেশনটি দেখে তো খুব ভালো মনে হয়েছে। সেই ভাবেই আমরা আমাদের ডিভিশনের ওই সব রেল স্টেশনগুলি কে সাজাতে চাইছি। তাতে কি থাকবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এক নম্বর লক্ষ্য হচ্ছে যাত্রী পরিষেবা আরো ভালো করে তৈরি করা । দ্বিতীয়ত যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং তৃতীয়ত স্টেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ আরো ভালো করে তোলা ।


যেমন এইসব চিহ্নিত রেলস্টেশনগুলির বেশ কিছু স্টেশনে আমরা দেখেছি, ট্রেন থেকে নামার পর অথবা স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় সিট মাথার উপরে না থাকায় বৃষ্টিতে তারা ভিজে যান। দ্বিতীয়তঃ অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে এইসব স্টেশনে যেখানে যাত্রী শেড ঠিকমতো নেই ।আবার একাধিক স্টেশনের মধ্যে বিশাল অংশ জবরদখল করে রাখা আছে। সেই জবর দখল গুলি সরিয়ে দিয়ে সেখানে সুন্দর করে বাগান এবং পার্ক করা হবে। রাখা হবে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় মডেল। যা যাত্রীদের কাছে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য হবে । যাত্রীদের যে ওয়েটিং হল গুলি আছে সেগুলি যাতে ছোট ছোট বিমানবন্দরের ওয়েটিং ফলের মত হয় ,লাউঞ্জ থাকে সেরকম ভাবেই তৈরি করা হবে। এছাড়াও সমস্ত স্টেশনটা জুড়ে সিসিটিভি লাগানো হবে যাতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা পূর্ণমাত্রায় থাকে। যাত্রীদের যে বাথরুম বা শৌচালয় তাও আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে। এই সমস্ত স্টেশন গুলিতে ঢোকা এবং বেরোনোর জন্য যাত্রীদের যাতে আলাদা আলাদা সুন্দর প্রবেশ পথ থাকে সেটাও লক্ষ্য রাখা হবে। প্রতিটি স্টেশনে পার্কিংয়েরও সুন্দর ব্যবস্থা থাকবে। স্টেশন গুলিতে যাত্রীদের যাতে ন্যূনতম খাওয়া-দাওয়া জিনিস সহ স্টল থাকে সেটাও দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *