ASANSOL

আসানসোলে সিবিআইয়ের আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করলেন না আইনজীবী

আরো ১৪ দিনের জেল হেফাজত, পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* ১৪ দিন জেল হেফাজত শেষে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শুক্রবার আবারও তোলা হলো গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে আসানসোল জেলে থাকা বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।
কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রত মন্ডলের জামিনের আবেদন আগে থেকে করা হয়েছে। তাই এদিন অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ তার জামিনের আবেদন করেননি। জানা গেছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রতর জামিনের আবেদন করা নিয়ে শুনানি হবে। তার আগে ১৪ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই এই মামলায় রিপোর্ট জমা দেবে। অন্যদিকে, আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে ইডির দিল্লিতে অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে যাওয়ার শুনানির দিন রয়েছে।


অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী বিচারকের কাছে, তার দুটি মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়া ও ভোলে বোম রাইস মিলের ব্যাঙ্ক একাউন্ট চালু করার জন্য আবেদন করেন। এছাড়াও পূর্নাঙ্গ চার্জশিট সহ সমস্ত তথ্য দেওয়ার জন্য আবেদন করেন অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী। সবমিলিয়ে এদিন প্রায় এক ঘন্টার মতো সওয়াল-জবাব হয়। শেষ পর্যন্ত বিচারক আবারও অনুব্রত মন্ডলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ২২ ডিসেম্বর এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে বলে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়ে। সেদিন একইসঙ্গে অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবীর দুটি আবেদনের শুনানি হবে বলে বিচারক জানান। শুক্রবার অনুব্রত মন্ডল সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় ধরে আসানসোল জেলে রয়েছেন।


এর আগে গত ২৫ নভেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল। ঐদিনও আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়নি। সেই কারণে বিচারক অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি।
উল্লেখ্য, আসানসোল জেলে জেরা করার পরে দিল্লির রাউস আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন করেছিল। তারপরেই অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবীরা ইডির সেই আবেদনের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টে যান।


এদিন পরে সোমনাথ চট্টরাজ জানান, এদিন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়নি। আমরা তার জামিনের আবেদন নিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। সেখানে আগামী ১৬ ডিসেম্বর শুনানি রয়েছে। এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী হিসাবে ছিলেন রাকেশ কুমার।

Leave a Reply