ASANSOL

ইসিএলের মুনাফা ১০৮৫ কোটি টাকারও বেশি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* চলতি অর্থ বছরের ( ২০২২-২৩) প্রথম ৬ মাসে কোল ইন্ডিয়ার ( Coal India ) অধীন অন্যতম কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থা ইসিএল ( ECL ) ১০৮৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা মুনাফা করেছে। একইসঙ্গে ২০২২ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত ( চলতি আর্থিক বছরের ৯ মাসে) ইসিএল ২৩.৮ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন করেছে। যদিও গত অর্থ বছরে কয়েকশো কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল ইসিএলের। সূত্র থেকে জানা গেছে, কয়লা চুরি কমে যাওয়া ও ই-নিলামের চাহিদা বিভিন্ন কারখানা গুলোর থেকে বেড়ে যাওয়ায় লাভ বা মুনাফার পরিমাণ এই জায়গায় দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, চলতি আর্থিক বছরে ইসিএলে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ মিলিয়ন টন।


মঙ্গলবার সকালে ইসিএলের নব নিযুক্ত ডিরেক্টর (পার্সোনাল) আহুতি শোয়াই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি সোনপুর বাজারিতে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কোল হ্যান্ডেলিং প্ল্যান্ট যন্ত্রের উদ্বোধন করেছেন।
সংস্থার শূন্য পদ গুলিতে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২৭৮ জন মাইনিং সর্দার ও ৪৩ জন এ্যাকাউনেন্টকে সম্প্রতি ইসিএলে সরাসরি নিয়োগ করেছে। এছাড়া যারা কয়লার জন্য জমি দিয়েছিলেন তেমন ২১৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। ১৪৮ জন ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিও ইসিএলের বিভিন্ন দপ্তরে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন।


ইসিএলের বিভিন্ন বন্ধ থাকা কয়লা খনি চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গোপীনাথপুর, মধুজোড় ও চিনাকুড়ি খনি নতুন করে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজোরা এলাকায় কয়লার উপরে স্তর থেকে বার করে আনা ওভারবার্ডেন ( কয়লা মিশ্রিত মাটি ও পাথর) দিয়ে বালি তৈরীর প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
ইসিএলের শাঁকতোড়িয়া হাসপাতালে বহিরাগত রোগীদের চিকিৎসার খরচ এবং ডাক্তারের ফি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ উঠছে। গোটা বিষয়টি নিয়েও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে ডিরেক্টর (পার্সোনাল) জানান। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ৭ টি ডিজিটাল ডিসপেনসারি চালু করা সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে। বাংলায় অবৈধ কয়লা খনন বন্ধে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যখন যে সুবিধা ও সহযোগিতা চাওয়া হয়, সংস্থা সেটা পায় এবং সেই মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হয় বলে তিনি এদিন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *