ASANSOLKULTI-BARAKAR

প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকের আবাসনে চুরি

পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ , বারবার একই ঘটনায় আতঙ্ক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* পশ্চিম বর্ধমান আসানসোলের কুলটি থানার বরাকর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রবি রঞ্জনের আবাসনের দরজা ভেঙে টাকা ও বেশ কিছু সামগ্রী নিয়ে চোরেরা চম্পট দিলো। সোমবার রাতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরে এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত অন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।


তবে জানা গেছে, এই ধরনের চুরির ঘটনা এই প্রথম নয়। বারবারই এই ধরনের চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। রাতে নয়, দিনে দুপুরে এখানে চুরির ঘটনা ঘটছে। এমনকি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রধান বা মেন গেটের একটা অংশও চুরি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ। এইসব চুরির ঘটনা বরাকর ফাঁড়ির পুলিশকে জানিয়েও কোন ফল হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসার ইনচার্জ বা ডাঃ অনির্বাণ রায় মঙ্গলবার বলেন, সোমবার রাতে মেডিকেল অফিসার রবি রঞ্জনের আবাসনের পেছনের দরজা ভেঙে চোরেরা নগদ ৫ হাজার টাকা, একটা ইস্ত্রি, একটা ইনডাকশান ও অন্য জিনিস চুরি করে নিয়ে গেছে। এর আগে ডাঃ শীলা মুখোপাধ্যায়ের আবাসনে চুরির চেষ্টা হয়। চোরেদের ধরে পুলিশকে দিয়েছিলাম। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গেট চুরি করে নিয়ে গেছে। এইসব ঘটনার কথা পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। তারা এফআইআরও নিতে চাইছে না। ডাকলে আসছে না। বারবার বলা হলে, দূর থেকে পুলিশের গাড়ি টহল দিয়ে চলে যাচ্ছে।

সোমবার রাতের ঘটনা কথাও ফাঁড়িতে জানিয়েছি। তিনি বলেন, এরপরও কিছু না হলে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। কারণ এখানে এই চুরির জন্য এই আবাসনে কোন মেডিক্যাল অফিসার থাকতে চাইছে না। যার ফলে চিকিৎসার অসুবিধা হচ্ছে। তার মনে হচ্ছে, বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ চাইছে এখানে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাক।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের অভিযোগ, মনে হচ্ছে পুলিশের মদতেই চোরেদের এতো বাড়বাড়ন্ত। না হলে দিনেদুপুরে কেউ চুরি করার সাহস পায়?
এই প্রসঙ্গে বরাকর ফাঁড়ির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এক অফিসার বলেন, এই মুহুর্তে ফাঁড়ি ইনচার্জ নেই। বদলি হয়ে গেছেন। আমাদের কিছু করার নেই।

Leave a Reply