রানীগঞ্জে ঐতিহ্যের পীর বাবার মেলা শুরু

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : খনি শহর রানীগঞ্জের দীর্ঘ দিনের, ঐতিহ্যের পীর বাবার মেলা, শনিবার থেকে শুরু হল। রানীগঞ্জের, মঙ্গলপুর, রোনাই অঞ্চলে অবস্থিত পীর বাবার মাজার, যা আস্থানা হুজুর গৌসে বাঙ্গালা, শামসুদ্দিন সাহ-র সমাধিস্থল। সেই সমাধিস্থলে, তার প্রয়াণ দিবস এর সময় থেকে দশ দিন ধরে হয়ে থাকে উরূস অনুষ্ঠান। আর সেই বিষয়টি স্মরণে রেখে দীর্ঘ ১২৪ বছর সেই পীর বাবাকে স্মরণ করে হয়ে আসছে পীর বাবার মেলা। শুধু খনি অঞ্চলই নয়, ভিন জেলা, তথা ভিন রাজ্যে, এমনকি ভিন দেশের অসংখ্য শ্রদ্ধালু, গত কয়েকদিন ধরেই নানান সব রীতি রেওয়াজ সম্পন্ন করেন তারা। পীর বাবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে এমনটা।

বিগত দুটি বছর, এই পীর বাবার মেলা নামমাত্র সম্পন্ন হলেও, এবার করোনার আবহ কাটার পরপরই, মেলাতে আলাদা ছন্দযোগ হয়েছে। এবারের এই পীর বাবার মেলা শুক্রবার রাত্রেই রুমাল পোশি হয় মাধ্যমে শুরু হয়, পরে শনিবার সকালে পাটনার থেকে প্রথম চাদর চাপানোর সাথেই, সন্দল পোশির কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। এরপরই প্রথম চাদর চাপানো হয় শনিবার বিকেলে। এদিন তার পিতৃস্থল- কলকাতা থেকে, দাদা পীরের জন্মস্থল থেকে, চাদর চাপানোর পরই, শুরু হয় পীর বাবাকে চাদর চড়ানোর কাজ।

riju advt

আর এই অনুষ্ঠান চলে দীর্ঘ দশ দিন ধরে। দশ দিন ধরে চাদর চাপানোর এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকায় বসে মেলা। দীর্ঘ দুটি বছর কোনক্রমে, মেলা কাটলেও, এবার পুরনো উদ্যমে শুরু হয়েছে পীর বাবার মেলা। মেলায় নাগরদোলা স্টল, থেকে শুরু করে নানান কেনাকাটার স্টল, বিশেষ করে খাদ্য রসিকদের ও মিষ্টি রসিকদের কথা মাথায় রেখে আসে অসংখ্য খাজার স্টল। যাকে ঘিরে মানুষজনের এই কয়েকটা দিন উৎসাহে কাটান। এলাকা বহু শ্রদ্ধালু পীর বাবার মেলায় হাজির হন, নিজেদের মানত পূরণের লক্ষ্যে। অনেকেই আবার এই মিলন মেলায় বিভিন্ন কেনাকাটার সামগ্রী সংগ্রহ করেন। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন 10 দিনের এই মেলার সময়কালে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলার কারণে, তারা স্পিকারের ব্যবহার নামমাত্র করছেন। এই মেলা কে কেন্দ্র করে বিগত বছর গুলিতে রেলের সময় সীমাও কিছুটা বাড়ানো হয়,সে বিষয়ে এ বছরও রেল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ গ্রহণের কথা উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *