ASANSOL

আসানসোল হোটেলে গুলি কান্ড : স্কেচ আকিঁয়ে দুই বন্দুকবাজের খোঁজ, যোগাযোগ ভিন রাজ্যের পুলিশের সঙ্গেও

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ওরাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল শহরের হাড়হিম করা হোটেলে গুলি কান্ডের পরে ৪৮ ঘন্টারও বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু রবিবার রাত পর্যন্ত তেমন ভাবে কোন ক্লু বা সূত্র তদন্তকারীদের হাতে আসেনি, যাতে দুই বন্দুকবাজ পর্যন্ত পৌঁছানো যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেনরেল রোডের হোটেল মালিক অরবিন্দ ভগৎকে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটেছিলো। পুলিশ কমিশনার সহ একাধিক আইপিএস সজ্জিত আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে থাকা আসানসোল শহরের এই ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তভার দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের সিআইডিকে। পাশাপাশি তদন্তের কাজে রয়েছেন পুলিশ কমিশনারেটের ডিডি বা ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট ও আসানসোল দক্ষিণ থানার একাধিক পুলিশ অফিসার।
ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে দুই বন্দুকবাজের স্কেচ বা পোট্রের্ট পার্লে তৈরী করা হয়েছে। যদিও ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীর বয়ান ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় দুই বন্দুকবাজের মধ্যে একজনের মাথায় হেলমেট ছিলো। অন্যজনের মাথায় পড়া ছিলো মাঙ্কি টুপি জাতীয় কিছু একটা। তাই দুই বন্দুকবাজের মুখ চেনার কোন উপায় সেই অর্থে বলতে গেলে ছিলো না।

sketch of suspect source : ADPC


গুলি চালানোর সময় ঐ হোটেলের লবিতে অরবিন্দ ভগতের সঙ্গে ও আশপাশে যারা ছিলেন, তাদের গত দুদিনে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। হোটেলের আশপাশের সব দোকানদারদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ঐ হোটেলে ঘটনার সময় যারা ছিলেন তাদের সম্পর্কের খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে।
একবারে বেপরোয়া ভাবে ভরসন্ধ্যায় জনবহুল এলাকায় হোটেলের মধ্যে ঢুকে গুলি চালানোর ভাবগতিক দেখে পুলিশ নিশ্চিত, বন্দুকবাজরা একবারে সুপার কিলার। পাশাপাশি তারা সার্ফ শুটার। কেউ না কেউ তাদেরকে এই ঘটনা ঘটাতে বরাত দিয়েছিলো বলে পুলিশ অফিসাররা মনে করছেন। এই শুটাররা অন্য রাজ্যের হতে পারে। এই শঙ্কা থেকে তদন্তকারী অফিসাররা বিহার ও ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে ইতিও যোগাযোগ করেছেন। বিস্তারিত তথ্য তাদের দেওয়া হয়েছে।

file photo

কেননা, এর আগে এই আসানসোল ও দূর্গাপুরের যত বড় অপরাধ ঘটেছে, তার পেছনে ভিন রাজ্যের কুখ্যাত অপরাধীদের যোগসাজশ পাওয়া গেছে। তারা স্থানীয় মধ্যস্থতাকারী অপরাধী বা লোকাল মিসক্রিয়েন্টদের সঙ্গে নিয়েছিলো অপরাধ সংঘটিত করতে। তাই পুলিশ এই বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এক আধিকারিক বলেন, সবদিক থেকেই তদন্ত করা হচ্ছে। কোথাও কোন ফাঁক রাখা হচ্ছে না। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত ব্রেকথ্রু পাওয়া যাবে।

Leave a Reply