ASANSOL

রাজ্যজুড়েই টোল প্লাজায় জাতীয় সড়কের টোল ট্যাক্স বাড়ছে

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : আগামী ১লা এপ্রিল থেকে রাজ্যজুড়েই টোল প্লাজায় জাতীয় সড়কের টোল ট্যাক্স বাড়ছে। ছোট গাড়ি থেকে বড় ট্রাক ডাম্পার বা বাস অথবা বড় কন্টেইনার কেউই এর হাত থেকে রেহাই পাবেন না বলে জানা গেছে ।চার চাকার ছোট গাড়িতে ন্যূনতম পাঁচ থেকে সাত টাকা করে টোল প্লাজায় বাড়বে প্রতিট্রিপে।অন্যদিকে বড় ট্রাক ডাম্পার বা খুব বড় গাড়ি হলে সেখানেও অন্তত কুড়ি টাকা মত বাড়বে । এ কথা জানিয়ে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তথা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মলয় দত্ত বলেন ছোট গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে খুব বেশি বাড়ছে না। বর্তমানে একটা ছোট গাড়ি ৮০ টাকা লাগে প্রতি টিপে।সেক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে । লাইট কমার্শিয়াল ভ্যাকেন্স বর্তমানে ১৩০ টাকা লাগে সেটাও ৬ থেকে ৮ টাকা বাড়বে ।বাস এবং ট্রাক বর্তমানে প্রতি ট্রিপে ২৭৫ টাকা লাগে। এ ক্ষেত্রেও দশ টাকা মত বাড়বে।


চার থেকে ছয় এক্সেলের যে বড় গাড়ি ট্রাকগুলি আছে সেগুলি বর্তমানে ৪৩৫ টাকা লাগে ।এটাও বাড়বে ১০ থেকে ১৫ টাকার মত ।এছাড়া যেগুলি খুব বড় ধরনের কন্টেনার এবং সেভেন এক্সসেল গাড়ি সেগুলি বর্তমানে ৫৩০ টাকা লাগে প্রতিট্রিপে। এটাও বাড়বে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ব্যক্তিগতভাবে চার চাকার যে গাড়িগুলি মাসিক টোল ট্যাক্সে ২৭৩০ টাকা দিতে হতো সেটা ২০০থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়বে। এই টাকা বাড়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সূচক পরিবহন দপ্তর থেকে ঠিক করা হয়। তিনি বলেন ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে যারা মাসিক টিকিট করে রেখেছেন তাদের ২০০/২৫০ টাকার মতো বাড়বে।


একইভাবে তিনি জানান দুর্গাপুরের বাস কোপা এবং বাংলা ঝাড়খন্ড সীমানার মাইথনের কাছে যে টোল ট্যাক্স প্ল্যাজা আছে সেখানে প্রতিদিন গড়ে, ১৫ থেকে ১৮ হাজার বড় গাড়ি এবং ৫ হাজার ছোট গাড়ি অন্তত যাতায়াত করে। এই দুটি টোল প্ল্যাজা থেকে ট্যাক্স বাবদ প্রতিদিন প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ওঠে। এর মধ্যে দুর্গাপুরের বাসকোপা থেকেই প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আসে বলে তিনি জানান।


এদিকে নতুন করে টোল প্লাজার টোল ট্যাক্স বাড়ার কারণে চিকিৎসক নির্ঝর মাজি বলেন বারবার এভাবে বাড়ানোটা আমজনতার বা সাধারণ মানুষের জন্য ঠিক নয়। বহুদিন ধরে সিক্স লেনের গল্প বলা হচ্ছে কিন্তু হচ্ছে কই। দীর্ঘদিনের দূরপাল্লার বাস মালিক এবং আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য তুলসী মাহাতা বলেন বাসে এমনিতেই যাত্রী সংখ্যা ক্রমশ কমছে ।অন্যান্য খরচ বাড়ছে। তার ওপর আবার যদি টোল ট্যাক্স পয়লা এপ্রিল থেকে বাড়ে তাহলে আমরা সংকটে পড়বো। অন্তত যাত্রী পরিষেবার কথা মাথায় রেখে আমাদের ছাড় দেয়া উচিত। মনে রাখতে হবে রাজ্য সরকার গত কয়েক বছর ধরে আমাদের বাস ভাড়া বাড়াতে দেয়নি। দক্ষিণবঙ্গ বণিকসভার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান বলেন এভাবে টোল বাড়ার অর্থ আমাদেরও মাল পরিবহনের ক্ষেত্রে খরচ বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *