জিতেন্দ্র তেওয়ারির ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিলেন সিজিএম তরুণ কুমার মন্ডল। আগামী ২৭ মার্চ তাকে আবার আদালতে তোলা হবে বিচারক নির্দেশ দেন। সওয়াল-জবাব শেষ হওয়ার এক ঘন্টারও বেশি সময় পরে সকাল এগারোটা নাগাদ বিচারক রায় দেন। এরপর যখন জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে আদালত থেকে বার করে গাড়িতে তোলার বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখান।

তারা দাবি করেন, অনুব্রত মন্ডলকে এসি গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাহলে তাদের নেতার ক্ষেত্রে সাধারণ গাড়িতে কেন হবে? তা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর কোন মতে পুলিশ তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।
পরে সরকারি আইনজীবী বলেন, বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪( ২), ৩০৮ ও ৩৪ নং ধারায় মামলা করা হয়েছে।

riju advt

নিজেই সওয়াল করলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি

আসানসোল কম্বল কান্ডে দিল্লি থেকে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে রবিবার সকালে আসানসোল জেলা আদালতে সিজিএম তরুণ কুমার মন্ডলের এজলাসে তোলা হয়। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারি নিজেই সওয়াল করেন। তার হয়ে কোন আইনজীবী এদিন এজলাস ছিলেন না। অন্যদিকে, এজলাসে সরকারি আইনজীবী হিসাবে ছিলেন সোমনাথ চট্টরাজ। তিনি আসানসোল উত্তর থানার পুলিশের হয়ে এই মামলায় আরো তদন্তের জন্য ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন।

তখন সিজিএম জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে সওয়াল করার জন্য বলেন। জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, আমি কোন জামিনের আবেদন করছি না। ১৪ দিন নয়, আমাকে ২ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজত দেওয়া হোক। কারণ আমি আগাম জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলাম, তার শুনানি আগামীকাল সোমবার আছে। যদি সেখানে আমার আবেদন গ্রহণ করা হয়, তাহলে বিষয়টা অন্য হবে।

তখন সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ পাল্টা জবাবে বলেন, তদন্ত করতে হবে। ঘটনা ঠিক কি হয়েছিলো, তা জানতে হবে। আর হাইকোর্ট যখন আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছে তখন তো আর কিছু বলার নেই। মিনিট ১৫ এর সওয়াল-জবাবে সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারির বাদানুবাদও হয়। এরপর বিচারক শুনানি পর্ব শেষ করেন। এখনো তিনি কোন নির্দেশ দেন নি।
এদিন আসানসোল জেলা আদালতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। সকাল সাড়ে নটার সময় আসানসোল উত্তর থানা থেকে আসানসোল জেলা আদালতে আনা হয়েছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *