রানীগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তরে সম্পন্ন হল আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : রানীগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তরের অধিবেশন কক্ষে শুক্রবার সম্পন্ন হল আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ। একই সাথেই আতমা প্রকল্পের এক দিবসীয় কৃষক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হল। যার সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা করলেন কৃষি তথ্য উপদেষ্টা কেন্দ্র। উপস্থিত হন এডিএ অনমিত্র রুজ, বিএল ডিও ডাক্তার মানিক রতন পয়রা, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিক ব্যানার্জি, বিএমও এইচ ডাক্তার রাতুল নন্দী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া, উপ কৃষি অধিকর্তা (বিশ্ব ব্যাংক প্রজেক্ট) এ কে মন্ডল, দুর্গাপুর sub-divisional সহ কৃষি অধিকর্তা প্রশাসন, কাজী সাকিব হোসেন প্রমূখ। এদিনের এই কর্মসূচিতে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চারজন কৃষক কে কৃতি কৃষক সম্মান, অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হল। যার মাধ্যমে জীএদিন তাদের হাতে 10 হাজার টাকার টোকেন পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হল।
এদিন কৃষি সম্প্রসারণের জন্য যে সকল খরা প্রবণ এলাকা রয়েছে সেগুলিতে চাষ করে – জোয়ার, বাজরা, রাগী, এইসব শস্য দানা যা মিলেট হিসেবে পরিচিত, সেই শস্য চাষ করে চাষিরা কিভাবে আয় বাড়াবে ও খাদ্য হিসেবে সেগুলিকে, কিভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়, সে বিষয়ে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হল, এদিনের সেমিনারে। আয়োজকরা জানিয়েছেন মিলেট হল এমন একটি শস্য যা অর্থকরী শস্য হিসেবেই সাড়া ফেলেছে খনি অঞ্চলে। শস্যটির খাদ্যগুণ অন্যান্য শস্যের থেকে বেশি। যা কম খরচে চাষ করা খুবই লাভজনক। এই ফসল চাষের জন্য, কম জলে, স্বল্প মূল্যের উপকরণে, উন্নত ফসল পাওয়া সম্ভব হয়। যা নিয়ে আলোকপাত করেন বিশিষ্ট সব কৃষি বিশেষজ্ঞরা।