ASANSOL

জেলায় ১১৯.২ কিলোমিটারের ১৪৮ টি রাস্তা রাস্তা হয় নতুন করে হবে কিংবা সংস্কার করা হবে : মন্ত্রী মলয় ঘটক

ইডির ডাকে দিল্লি না যাওয়া নিয়ে মন্তব্য এড়ালেন, শিল্প নিয়ে বাম ও বিজেপির সমালোচনায় মন্ত্রী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও দেব ভট্টাচার্যঃ আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সেনরেলের সাইকেল কারখানা, কাঁচ কারখানা , রানিগঞ্জের জেকে নগর অ্যালুমিনিয়াম কারখানা ,রানিগঞ্জের পেপার মিল কুলটির স্প্যান পাইপ কারখানা সহ একাধিক কারখানা বন্ধ হয়েছিল বাম আমলে। আর বর্তমান বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে হিন্দুস্থান কেবলস কারখানা , বার্ণপুরের বার্ণ স্ট্যান্ডার্ডের মতো কারখানা বন্ধ হয়েছে।
এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে রাজ্য সরকার নতুন করে এই আসানসোল শিল্পাঞ্চলে শিল্পের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া বার্নপুরের ঢাকেশ্বরী কটন মিল অধিগ্রহণ করেছে। রাজ্যের শিল্প মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কয়েকদিন আগেই বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয়েছে এই কারখানা চত্বরে যারা শিল্প করতে চান তারা যোগাযোগ করুন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আসানসোলের জিটি রোডের রাহালেন মোড় সংলগ্ন তৃনমুল কংগ্রেসের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করে রাজ্যের শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি আরো বলেন, গত ১২ বছরে এই রাজ্যে শিল্পে কোন শ্রম দিবস নষ্ট হয়নি। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, একাধিক শিল্পতালুক যেমন করা হয়েছে, তেমন কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যজুড়ে রাজ্য সরকারের টাকায় পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন। সেই প্রকল্পে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১১৯.২ কিলোমিটারের ১৪৮ টি রাস্তা আছে। এইসব রাস্তা হয় নতুন করে হবে কিংবা সংস্কার করা হবে।

তিনি আরো বলেন, রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষের স্বার্থে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৮ টি প্রকল্প চালু করেছেন তখন কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে। আর তাতে দিল্লিকে উৎসাহ দিচ্ছেন এই রাজ্যেরই থেকে নির্বাচিত কয়েক মন্ত্রী ও নেতা।


তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী “চোখের আলো” দৃষ্টিহীনদের জন্য প্রকল্প চালু করেছেন। যাতে চোখের অস্ত্রপচার শুধু নয় চশমা পর্যন্ত এই প্রকল্প থেকে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, মলয় ঘটককে এদিন জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি দিল্লিতে ইডির ডাকে বুধবার দিল্লি যাননি। না যাওয়ার কারণ হিসেবে লিখেছেন নাকি শরীর খারাপের কথা। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি কি লিখে পাঠিয়েছি তা বলতে চাই না। তবে শরীর খারাপ বলে কিছু পাঠায়নি। এই ব্যাপারে আর তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি।


এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন অন্যদের মধ্যে ছিলেন তৃনমুল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিম উল হক, জামুরিয়া বিধায়ক হরিরাম সিং, পশ্চিম বর্ধমান জেলার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সৈয়দ মহম্মদ আফরোজ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *