ASANSOL

পশ্চিম বর্ধমান জেলার সর্বশিক্ষা মিশনের তিন ইঞ্জিনিয়ার কে ট্রান্সফার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার সর্বশিক্ষা মিশনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : পশ্চিম বর্ধমান জেলার সর্বশিক্ষা মিশনের তিন ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেন । অথচ এই জেলার সর্বশিক্ষা মিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা না করে জেলার কোনরকম অনুমোদন না নিয়েই তিনজন ইঞ্জিনিয়ার কে তাদের খুশি মত অন্য জেলায় ট্রান্সফার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার সর্বশিক্ষা মিশনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার সর্বশিক্ষা মিশনের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা শাসক সঞ্জয় পাল এবং জেলা শিক্ষা আধিকারিক বা ডি ই ও তমজিৎ চক্রবর্তী। কি করে এটা সম্ভব হচ্ছে এবং কেন হচ্ছে এ নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলে রাজ্যের সর্বশিক্ষা মিশনে প্রজেক্ট ডিরেক্টর শুভ্র চক্রবর্তীকে চিঠি লিখলেন । আর সেই চিঠির উত্তরে ডিরেক্টর ওদের তিনজনের ট্রান্সফার অর্ডার বাতিল করে আবার পশ্চিম বর্ধমানে পাঠিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয় একইসঙ্গে অভিযোগ করা হয়েছিল বর্ধমান ভেঙে পশ্চিম বর্ধমান তৈরি হয় ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল। কিন্তু সর্বশিক্ষা মিশনের ৯৫৫ জন বিভিন্ন ধরনের প্যারা টিচার সহ শিক্ষক শিক্ষাবন্ধু ৭ ইঞ্জিনিয়ার সকলের বেতন ও যাবতীয় আর্থিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টা পূর্ব বর্ধমানের ছিল।


সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং ও ডি ই ওর চিঠির ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে। এখন থেকে এদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং বেতন দেওয়ার বিষয়টিও পশ্চিম বর্ধমানের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে।ফলে একদিকে যেমন এই দপ্তরের দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক সমস্যা মিটেছে, অন্যদিকে এই জেলার যেকোনো একটি বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষা বন্ধু পাঠানো যাবে । তেমনি এই ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের মূল্যায়ন করে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাও জেলা আধিকারিকরাই নিতে পারবেন। এতেই সবচেয়ে লাভবান হবে ছাত্র-ছাত্রীরা বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।


এই বিষয় জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক তথা ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন আমাদের জেলায় সর্বশিক্ষা মিশনের সাতজন ইঞ্জিনিয়ার আছেন। এরমধ্যে তিন জনকে আমাদের না জানিয়ে পূর্ব বর্ধমানের সংশ্লিষ্ট দপ্তর তাদের খুশি মতো ট্রান্সফার করে দেয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ইতিমধ্যেই আমরা সর্বশিক্ষা মিশনের নির্মাণ কার্যের সাথে যুক্ত একাধিক ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের কিছু কিছু অভিযোগ পেয়ে তাদের শোকজ করি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার শুরু করি। সেই সময় এই তিন ইঞ্জিনিয়ার কে ট্রান্সফার করা করাতে রীতিমতো আমরা সমস্যায় পড়ি। আমি এবং আমাদের শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত জেলা শাসক বিষয়টি নিয়ে সর্বশিক্ষা মিশনের ডিরেক্টর কে চিঠি লিখি সেখানে এটা উল্লেখ করি যে জেলা ভাগের এত বছর পরেও এদের বেতন দেওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আমাদের হাতে দেওয়া হোক। সম্প্রতি সেই নির্দেশ ডিরেক্টর দেন। ওই তিন ইঞ্জিনিয়ার কেও ফেরত পাঠানো হয়। এতে আমাদের এখানকার সর্বশিক্ষা মিশনের নিয়ন্ত্রণে স্কুলগুলোতে আরো ভালো করে কাজ করা যাবে। ছাত্রছাত্রীরাও উপকৃত হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন একটা সমস্যা হয়েছিল। আমরা উচ্চপদস্থ বিভাগীয় আধিকারিককে চিঠি লিখে তা জানিয়েছিলাম। সমস্যাটা মিটেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *