ASANSOL

ইসিএলের খনি থেকে রেল সাইডিংয়ে আসার পথে ডাম্পার থেকে কয়লা ” ভ্যানিশ”, মিললো পাথর

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ ইসিএলের খনি থেকে রেল সাইডিংয়ে কয়লা পরিবহন বা ট্রান্সপোর্টিংয়ের সময় পাথরে পরিনত হলো! তা ধরেও ফেলল ইসিএলের নিরাপত্তা দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সালানপুর এরিয়ার আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হলো গাড়ির দুই চালককে। তাদের এখন পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আটক করা হয়েছে কয়লা নিয়ে যাওয়া দুই ডাম্পার ।

জানা গেছে, ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার বারাবনির ইটাপাড়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলন করা কয়লা দুটি ডাম্পারে করে গত ১৫ এপ্রিল গভীর রাতে সালানপুর এরিয়ার বনজেমারি রেলওয়ে সাইডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই দুটি ডাম্পারে ৪৮ টনের কিছু বেশি কয়লা ছিল। যার বাজার মূল্য আড়াই লক্ষ টাকাও বেশি হবে। দুটি ডাম্পারেই জিপিআরএস চিপ লাগানো ছিল। ডাম্পার দুটি জাতীয় সড়ক দিয়ে চৌরঙ্গি মোড় হয়ে আসছিল । হঠাৎ জিপি আরএস কন্ট্রোলরুমে সালানপুর এরিয়া আধিকারিকরা লক্ষ্য করেন এখানে কোনভাবে জিপিআরএস কাজ করছে না। তাদের সন্দেহ হয় যে কিছু একটা ঘটেছে । সঙ্গে সঙ্গে তারা খোঁজ করতে করতে এসে দেখেন দুটি ডাম্পার যার মধ্যে তাদের জিপিআরএস লাগানো ছিলো, সেখানে কোন কয়লা নেই। কয়লা পরিবর্তে প্রচুর কালো পাথর আছে। এরপর পরের দিন অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল সকাল বেলা ইসিএলের সালানপুরের ম্যানেজার এবং অন্যান্য আধিকারিকরা সেখানে আসেন ।

বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়। কিন্তু উদ্ধার হওয়া জিনিস পাথর না কয়লা এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার কেমিক্যাল পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় ইসিএলের ল্যাবোটারিতে। সেই রিপোর্ট গত সোমবার এসে পৌঁছায়। এরপর মঙ্গলবার ঐ দুই ডাম্পারের চালককে সালানপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারা দুজনেই অন্ডাল এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, ঐ দুই চালককেই ৭ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।


ইসিএলের চিফ সিকিউরিটি অফিসার শৈলেন্দ্র কুমার সিং বুধবার বলেন, সরকারি কয়লা চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে সালানপুর থানায়। তার ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে দুটি ডাম্পার।
এই চক্রের সাথে আরো কেউ যুক্ত কিনা পুলিশ তা দেখছে। এর আগেও গত জানুয়ারি মাসেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনার পরে কয়লা চুরির একটি নতুন ধরনের চক্র নতুন পদ্ধতিতে কয়লা চুরির কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply