DURGAPUR

Raju Jha Murder Case : সুপারি কিলারের সঙ্গে অভিজিতের মোবাইলে কথোপকথন, তদন্তে দুর্গাপুরে সিট

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : গ্রেফতার অভিজিৎ মন্ডল কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে হত্যা করতে ব্যবহৃত সুপারী কিলারদের সাথে মোবাইলে কথা বলেছিল। সেই তথ্য মুছে ফেলার জন্য কয়েকদিন আগে মোবাইল ফরম্যাট করেছিলেন অভিজিৎ। এমনই তথ্য রয়েছে বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তবে তদন্তকারীরা সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুনের ১৯ দিন পর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিটি সেন্টার কার্যালয় থেকে পানাগড়ের বাসিন্দা অভিজিৎকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মোবাইল ফোনের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করে। গ্রেফতারের পর তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই রাজুর খুনের সঙ্গে জড়িত সুপারি কিলারদের সঙ্গে কথা বলেছিল অভিজিৎ। একই সঙ্গে মাত্র এক মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পায় অভিজিৎ। তদন্তকারীরা মনে করছেন, জেলেই গুড্ডু নামে এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসে অভিজিৎ। গুড্ডু তাকে সুপারি কিলারদের সংস্পর্শে আনে বলেই মনে করছেন তারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ লা এপ্রিল রাজুকে হত্যার জন্য একটি চুরি করা ব্যালেনো গাড়ি ব্যবহার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িটি দিল্লি থেকে চুরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা যায় যে এটি ৩০ মার্চ বাঁকুড়া থেকে আসে। এরপর অভিজিতের বাড়ির আশপাশে রেখে দেওয়া হয়। সঙ্গে একটি সাদা রঙের ছোট গাড়িও ছিল যা নিয়ে খুনিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ জানতে পেরেছে যে দুটি গাড়িই ৩০ এবং ৩১ মার্চ দুর্গাপুরের বামুনারায় ছিল।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ ও ৩১ তারিখে এই দুটি গাড়িই দুর্গাপুরের বামুনারায় ছিল। ৩১শে মার্চ বিকেল ৩টার দিকে ব্যালেনো গাড়িটি দুর্গাপুর ছেড়েছিল। বেলা ৩ টে বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ, এটি পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে এবং ২ নম্বর জাতীয় সড়কের নিরসা টোল প্লাজা অতিক্রম করে। দুপুর আড়াইটার দিকে গাড়িটি টোল প্লাজা অতিক্রম করে আবার বামুনারা এলাকায় প্রবেশ করে। পরেরটি রাজুর গাড়ি অনুসরণ করে। এরপর তাকে খুন করে সুপারি কিলাররা। এরপর সুপারি কিলাররা ব্যালেনো গাড়িটি ফেলে রেখে শক্তিগড় থেকে বীরভূমের দিকে ভাগলপুরের রোডের দিকে সাদা রঙের ছোট গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।

অন্য়দিকে জু ঝা হত্যা মামলায়, বিশেষ তদন্তকারী টিমের সদস্যরা দুর্গাপুরের অম্বুজা টাউনশিপে নরেন্দ্র খারকা ওরফে নারায়ণের জিমে অভিযান চালায়। রাজু ঝা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিজিৎ মণ্ডল কে নিয়ে সিটের অন্যতম সদস্য তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বড় টিম বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণের জিমে অভিযান চালায়। ওই সময় জিমে নারায়ণের নিচের তলার অফিসে তালা দেওয়া ছিল। তলব করা হয় জিমের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও নারায়ণের কোনো কর্মী ঘটনাস্থলে আসেননি।


রাত ৯টা ৫ মিনিটে জিমে আসেন নারায়ণের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি জানি না কেন সিটের সদস্যরা আমার মক্কেল নরেন্দ্র খারকার জিমে এসেছেন। একজনকে আটক করা হয়েছে বলে শুনেছি। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি নারায়ণের জন্য কাজ করত কিনা জানি না। “নারায়ণ এখন কোথায়? তাকে ১৬১ সি আরপিসি এর অধীনে নোটিশ জারি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী সুব্রত বলেন, আমার মক্কেল এখনো এ ধরনের কোনো নোটিশ পাননি। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও নারায়ণের অফিস থেকে কোনো কর্মচারী আসেননি। তাই পুলিশ অফিস সিল করে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *