RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জে আগুন নেভানোর কাজ করতে জেসিবি, কোন দমকল বা অগ্নিনির্বাপক দল না থাকায় ক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : একেবারে আশ্চর্য চকিত করা ঘটনা লক্ষ্য করা গেল রানীগঞ্জের বাঁশড়ার ও সি পি সংলগ্ন এলাকায়, সেদিন কোন অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র বা ফায়ার ব্রিগেড এর সাহায্যে নয় আগুন নেভানোর কাজ করতে জেসিবি সাহায্য নিল কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ। শনিবার ওসিপি সংলগ্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ অংশে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপর সেই আগুন জেসিবি দিয়ে নেভাতে তৎপর হয় ইসিএল। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, বাঁশড়া ওসিপি সংলগ্ন ও ইন্ডিয়ান অয়েলের পাইপলাইন যাওয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে, দীর্ঘক্ষণ ধরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে সেই আগুন নেভাতে হাজির হয় না কোন দমকল বা অগ্নিনির্বাপক দল ,আর তার পরিবর্তে সেখানে পৌঁছে যায় মাটি কাটার ও কয়লা খনির কাজে ব্যবহৃত হওয়া ১টি জেসিবি যন্ত্র। আর এই যন্ত্র দিয়ে চলছে বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আগুন নেভানোর কাজ। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন এর দ্বারা যতটা না আগুন নেভানো যাচ্ছে, তার থেকে বেশি বৃক্ষ ছেদন হয়ে পড়ছে, তাদের দাবি আগুনে যত না, গাছ পুড়ে নষ্ট হচ্ছে, তার থেকে বেশি গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এভাবে জেসিবি চালিয়ে আগুন নেভাবার ফলে।

শনিবার এমনই বিষয় লক্ষ্য করা গেল রানীগঞ্জের বাঁশড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসিএল এর বাঁশড়া ও সি পি সংলগ্ন সোনাচোরা জঙ্গল এলাকায়। স্থানীয় এলাকার তথ্য প্রদর্শীদের দাবি সকাল প্রায় ন’টা নাগাদ এই আগুন লাগলেও বেলা প্রায় বারোটা নাগাদ এই আগুন নেভাতে তৎপর হয় ই সি এল, যদিও সেই আগুন নেভাতে কোন দমকল বিভাগের সাহায্য তারা নেয় না পরিবর্তে জেসিবি দিয়েই চলে দিকে দিকে গাছপালা মাড়িয়ে দিয়ে অসংখ্য গাছ উপড়ে ফেলে, মাটি ঢাকা দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ সকল দেখে অবাক হয়ে যায় তাদের তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে যে সংলগ্ন এলাকায় যেখানে এত সহজ দাহ্য ইন্ডিয়ান অয়েল এর পাইপলাইন গিয়েছে সেখানে এরূপভাবে আগুন নেভানো কতটা নিরাপদ তা নিয়ে তারা তোলে প্রশ্ন ?

উল্লেখ্য প্রবল গ্রীষ্মের দাবদাহে এই বাঁশড়া অঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েক দফায় আগুন লাগার ঘটনায় সংলগ্ন এলাকার টাইগার হিলে থাকা আম বাগানের অসংখ্য আমগাছ নষ্ট হয়ে যায় আগুনে পুড়ে। এরপর ফের এ ধরনের আগুন লাগায় শনিবার অসংখ্য গাছ নষ্ট হতে দেখা গেল খনি অঞ্চলের এই এলাকায়। যা নিয়ে অনেকেই দাবি করেছেন এটা পুরোপুরি অবহেলার কারণেই এ ধরনের আগুন লাগার ঘটনা বারংবার ঘটছে,আর যার জেরে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে হাজারো হাজার গাছ। যদিও এতসব কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পরও কিলোমিটার দূরে থাকা ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট থেকেও কোন আধিকারিক ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়নি, একইভাবে লক্ষ্য করা যায়নি ইন্ডিয়ান ওয়েলের কোনো আধিকারিকদের, যা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন ।

Leave a Reply