কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের ৫০ মিটারে নিষেধাজ্ঞা
উপাচার্য পদত্যাগের আন্দোলন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ অধ্যাপক থেকে কর্মী, পড়ুয়াদের উপাচার্যকে সরানোর দাবিতে আন্দোলন বুধবার ৪৬ দিনে পড়লো। এর মধ্যে এই আন্দোলন চলাকালীন একাধিকবার উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এই আন্দোলনের কারণে তিনি প্রশাসনিক ভবনে নিজের দপ্তরে ঢুকতে পারেননি। বারবার তাকে ফিরে যেতে হয়েছে। এরপর উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী এই আন্দোলনে তার ঢুকতে না পারা সহ প্রশাসনিক নানান কাজকর্মের সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার রায় দিয়ে বুধবার জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনো রকম আন্দোলন বা অবস্থান ও বিক্ষোভ করা যাবে না। দ্বিতীয়তঃ যদি কেউ তা করে তাহলে সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তৃতীয়তঃ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মী থেকে আধিকারিক কারোর গতিবিধি রোধ করা বা আটকানো যাবে না। যদি সেক্ষেত্র নির্দেশ ভঙ্গ করা হয় তাহলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বুধবার এমনই রায় দিয়েছেন বলে জানান উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী ।
সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু কর্মী সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সম্পাদক তথা এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত হাইকোর্টের কোন নির্দেশ হাতে পাইনি। আর উপাচার্যর পদত্যাগ চেয়ে এই আন্দোলনটা যেহেতু আমরা যৌথভাবে করছি তাই যে কোন সিদ্ধান্তই সবাই মিলে বসে একসাথে নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার আহ্বায়ক অধ্যাপক সজল বন্দোপাধ্যায়কে একাধিকবার এই ব্যাপারো ফোন করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।