অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ, জেসিবি ভাঙচুর, আগুন, দিনভর উত্তেজনা
শহরে বেআইনি নির্মাণ ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে বুলডোজার পুরনিগমের
বেঙ্গল মিরর আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আবারও সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণ ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে নামলো আসানসোল পুরনিগম। শুক্রবার এই অভিযান নিয়ে দিনভর উত্তেজনা রইলো আসানসোল শহরের জিটি রোডে। গোটা অভিযানও রইল ঘটনা বহুল। এই অভিযানের প্রতিবাদে দফায় দফায় জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ভাঙচুর করা জেসিবি গাড়ি । জেসিবির ভাঙা সিমেন্টের পিলারের ধাক্কায় একজন আহত হন। মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জেসিবির চালককে। এরমধ্যেই বিকেলের দিকে শট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায় ৫ টি দোকান। শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত মিনি ট্রাক এ্যাসোসিয়েশনের একটি অফিস ভাঙা হলেও ভাঙা হলেও, ভাঙা হয় নি অন্য একটি তৃনমুল কংগ্রেসের অফিস। এর পাশাপাশি বেশ কিছু দোকান মালিক এই উচ্ছেদের মধ্যে তাদের দোকানের জিনিসপত্র লুঠ করার অভিযোগ তুলেছেন।
এতো কিছু হলেও, আসানসোল পুরনিগমের এই অভিযান নিয়েই আসানসোল শহরের মানুষের প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের দাবি, যেসব জায়গায় সবচেয়ে বেশি বেআইনি নির্মাণ ও অবৈধ দখলদার রয়েছে, সেখানে আগে এই অভিযান কেন করা হলোনা। সেই জায়গা গুলি হলো আসানসোল বাজারের ফুটপাত ও হটন রোড জিটি রোডের সংযোগস্থল এবং হটন রোড মোড় থেকে রাহালেন মোড় পর্যন্ত এলাকা।




এদিন বেলা বারোটার পর থেকে আসানসোল পুরনিগমের তরফে জিটি রোডে রাস্তার দুই ধারে গীর্জা মোড় থেকে চেলিডাঙ্গা পর্যন্ত যে সমস্ত অস্থায়ী বা অবৈধ দখলদারী করে দোকান ও বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠেছিল সেইসব কিছু বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো। পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার, লিগ্যাল এডভাইজার, পুরকর্মী ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার বেলা বারোটা থেকে এই অপারেশন চলে। প্রায় ৬০ টির বেশি দোকানকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে । পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার আরকে শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, একমাস আগে এই দখলদারদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হয়েছিল। এছাড়াও বেশ কয়েকদিন ধরে মাইকিং করা হয়েছে। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত।

যদিও আসানসোলের জিটি রোডের হটন রোড থেকে রাহালেন পর্যন্ত ফুটপাত দখল করে থাকা দখলদারদের কেন উঠানো হচ্ছে না, শুধুমাত্র জি টি রোড এই দখলদারীদের কেন উঠানো হচ্ছে। এই প্রশ্নের উত্তরে ইঞ্জিনিয়ার বলেন, পুরনিগম কর্তারা যেমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। তার দাবি, ধাপে ধাপে সব এলাকায় এই অভিযান হবে।

এদিকে, এদিন বিকেল নাগাদ আসানসোলের লোকো ট্যাঙ্ক লাগোয়া জিটি রোডের পাশে উচ্ছেদ অভিযান করে ভেঙে দেওয়া হয় দোকানে আগুন লেগে যায়। মূহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ও আসানসোল দমকল বিভাগের দমকলের ইঞ্জিন নিয়ে পৌঁছান দমকলকর্মী। ঘন্টা খানেকের চেষ্টায় এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। কি কারণে এই আগুন তা খতিয়ে দেখছে দমকল বাহিনী ও পুলিশ। মোট পাঁচটি দোকান এই আগুনে পুড়ে যায় বলে জানা গেছে। তার মধ্যে পাখি বিক্রি করা একটি দোকানের মালিক মহঃ রফিক বলেন, এইসব দোকানে ইলেকট্রিকের বৈধ লাইন ছিলো। তা না কেটেই উচ্ছেদ করা হয়। সেই কারণে এই আগুন লাগে বলে তার দাবি।
- Asansol में बैंक आफ बड़ौदा द्वारा भविष्यत क्रेडिट कार्ड के आवेदनों पर परेशान करने के आरोप
- Asansol से सहरसा के लिए ट्रेन की मांग, सांसद को पत्र
- होलिका दहन हेतु डंडारोपण की पूजा
- স্থানীয়দের কাজে নিয়োগের দাবিতে খোলা মুখ খানিতে বিক্ষোভ, বন্ধ কাজ
- শ্রীবালানন্দ ব্রহ্মচারীর সঙ্গে রিষড়া প্রেম মন্দির আশ্রমের সংযোগ : কল্যাণ চক্রবর্তী