ASANSOL-BURNPUR

দামোদর নদী থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার

বেঙ্গল মিরর, বার্ণপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরে দামোদর নদীতে শুক্রবার দুটি ঘটনায় আলাদা দুটি জায়গায় স্নান করতে গিয়ে তিন স্কুল পড়ুয়া জলে ডুবে গেছিলো। তাদের মধ্যে শনিবার বিকেলে ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরে দুজনকে ও ৪০ ঘন্টা পরে রবিবার ভোরে একজনকে উদ্ধার করল জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের উদ্ধারকারী দল। রবিবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে এই তিনজনের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। পরে মৃতদেহগুলি পুলিশ পরিবারের হাতে তুলে দেয়।


শুক্রবার ঘটনার পর থেকে সেদিন রাত পর্যন্ত পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে তাদের উদ্ধারে ব্যর্থ হন। এরপর শনিবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হয়। শনিবার বিকেল বেলা কুড়ি মিনিটের ব্যবধানে দুজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। এই দুজন হল পীযূষ প্রসাদ (১৭ ) ও রাহুল পন্ডিত(২১)। তারা আসানসোলের জিটি রোড সংলগ্ন বস্তিন বাজার এলাকার বাসিন্দা। বার্নপুরের আলমনগরের বাসিন্দা আতিকুল খানের (১৪ ) খোঁজ মেলে রবিবার ভোরে। সেও শুক্রবার দুপুরে জলে ডুবে গিয়েছিল দামোদরে স্নান করতে নেমে।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে আলমনগরের বাসিন্দা তিন কিশোর নেহেরু পার্কের পেছনে বালু ঘাটের কাছে দামোদর নদীতে স্নান করতে যায়। সেই সময় সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া আতিকুল খান নদীতে তলিয়ে যায়। তার সঙ্গে থাকা দুই তুতো ভাই তারা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে । শেষ পর্যন্ত অবশ্য তারা বেঁচে শিখলেও আতিকুল ডুবে যায়।
অন্যদিকে, আসানসোলের বস্তিন বাজারের তিন স্কুল পড়ুয়া ভূতনাথ মন্দিরের কাছে দামোদর রেল সেতু পেরিয়ে ওপারের দিক থেকে সাঁতুরি এলাকার দামোদর নদীর ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিল। পীযূষ প্রসাদ (১৭) ও রাহুল পণ্ডিত (২১) নদীর জল কম থাকায় অন্য পাড়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। ঐ সময় দুজনকে নদীতে ডুবে যেতে দেখে তৃতীয় কিশোর নদী থেকে কোনমতে ফিরে যায়।
পুলিশের অনুমান, এই তিন জনই স্কুল থেকে বেরিয়ে দামোদর নদীতে স্নান করতে এসেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *