ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

জামুড়িয়ার ১১ টি ওয়ার্ডে চরম জল সংকট, মেয়রকে জানালেন বিধায়ক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ আসানসোল পুরনিগমের জামুরিয়া পুর এলাকায় জল সঙ্কট ভয়ংকর আকার নিয়েছে। তাই জামুড়িয়া পুর এলাকার ১১ টি ওয়ার্ডের সেই কল সংকট কাটাতে এবার জামুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন।
বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরনিগমে মেয়রের চেম্বারে এসে তার সঙ্গে এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলেন জামুড়িয়ার বিধায়ক। গরম পড়তেই আসানসোল পুরনিগমের জামুরিয়া পুর এলাকায় চরম জলসঙ্কট শুরু হয়েছে বলে বিধায়ক মেয়রকে জানান। সেই সঙ্গে বোগরার মতো একাধিক এলাকায় পাম্পে করে পাইপ লাইন থেকে জল বেশ কিছু মানুষ টেনে নেওয়ায় গরীব ও নিচু এলাকার বাসিন্দারা জল পাচ্ছেন না বলে তিনি এদিন মেয়রকে অভিযোগ করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুর ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে মেয়র জানিয়ে দেন অবৈধভাবে পাম্প চালিয়ে যারা জল নিচ্ছেন তাদের পাম্প গুলির ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নিন। ঐ এলাকায় প্রচুর পরিমাণ জলের ট্যাংকার পাঠানো হচ্ছে বা প্রয়োজনে পাঠানো হবে বলে বিধায়ককে তিনি জানান।


অন্যদিকে, জামুরিয়ার বিজেপির মন্ডল সভাপতি ব্রিজ মোহন বলেন, এত বছর ধরে আসানসোল পুরনিগম দখল করে শাসন করার পরেও তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের দরজায় জল পৌঁছে দিতে পারছে না। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার আমরুত প্রকল্পে প্রচুর টাকা দিয়েছেন।
জামুড়িয়ার সিপিএমের নেতা মনোজ দত্ত বলেন, বাম আমলে জল প্রকল্প যা হয়েছিল তারপরে নতুন করে আর কিছু হয়নি। সেজন্যই সমস্যা বেড়েছে।
মেয়রের সঙ্গে বৈঠক শেষে হরেরাম সিং জানান, আমার বিধান সভার অন্তর্গত জামুড়িয়া পুর এলাকার ১১ টি ওয়ার্ডে বহু দিন ধরেই চরম জলের সংকট আছে। পুরনিগম এখন নতুন করে প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। আমি বিষয়টা নিয়ে এজন্যে নিজে মেয়রের সাথে কথা বলে গেলাম। এছাড়াও কিছু কিছু এলাকায় জলের লাইন থেকে অবৈধভাবে পাম্প চালিয়ে জল টেনে নেওয়ায় বেশ কিছু এলাকা জল শুন্য থেকে যাচ্ছে। সেই সব পাম্পগুলো আটক করার জন্য আমি বলেছি।


পরে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, জামুরিয়ায় প্রতিদিন পুরনিগমের তরফে ৮০ থেকে ১০০ ট্যাংকার করে জল যাচ্ছে। যেখানেই জল সংকটের কথা কানে আসছে সেখানেই আমরা জল পৌঁছে দিচ্ছি । এছাড়াও আমাদের নতুন প্রকল্পের কাজও এগোচ্ছে। আমরুত ২ প্রকল্পে সেই কাজ হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যারা বেআইনিভাবে পাম্প দিয়ে জল টানছে তাদের প্রথমে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে সতর্ক করে তা বন্ধ করার কথা বলা হবে। যদি তারপরেও তারা শুধরে না যান তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনই নির্দেশ পুর ইঞ্জিনিয়ারদের দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply