ASANSOL

আসানসোলে গাড়ুই নদী নিয়ে ডিপিআর তৈরী করবে পুরনিগম

ডেপুটি মেয়রের নেতৃত্বে একটি দলের পরিদর্শন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল পুরনিগমের বর্তমান পুর বোর্ড গঠন হওয়ার পরেই মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাদের প্রধান ও অন্যতম লক্ষ্য হলো আসানসোলের রেলপার এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া গাড়ুই নদী সংস্কার করা। পাশাপাশি বলা হয়েছিলো, নদীর দুপাশ দখল মুক্ত করে বিউটিফিকেশন করা হবে।
বুধবার পুর বোর্ড গঠনের ১৪ মাস পরে পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র হিসেবে অভিজিৎ ঘটকের সঙ্গে শপথ নেন ওয়াসিমুল হক। তারপর এদিন তিনি সেই গাড়ুই নদী পরিদর্শনে বেরিয়ে যান। তার সঙ্গে ছিলেন দুই বোরো চেয়ারম্যান উৎপল সিনহা ও অনিমেষ দাস, পুরনিগম এবং সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। তারা আসানসোলের কালিপাহাড়ি থেকে কাল্লা ও রেলপার হয়ে কল্যানপুর পর্যন্ত গাড়ুই নদী পরিদর্শন করেন। বিশেষ করে এই এলাকার মধ্যে যে সব ব্রিজ আছে, সেগুলি তারা খতিয়ে দেখেন।


পরে ডেপুটি মেয়র বলেন, আমরা পুরনিগমের তরফে গাড়ুই নদী নিয়ে যা করার তা করছি। কিন্তু এই নদী নিয়ে একটা স্থায়ী পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। তাই এদিন সেচ দপ্তর ও পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে সঙ্গে নিয়ে কাল্লা থেলে রেলপার এলাকা পর্যন্ত পরিদর্শন করলাম। এবার আমরা একটা ডিপিআর বা ডিটেইলস প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাবো। তিনি আরো বলেন, পুরনিগমের তরফে নদীতে জমে থাকা গার্বেজ বা জঞ্জাল সাফ করছি। গার্ডওয়াল বসাচ্ছি। নদীর দুপাশ দখল হয়ে গেছে। তাদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছে। তারা না সরলে আমাদেরকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা এই এলাকার মধ্যে দিয়ে যাওয়া গোটা গাড়ুই নদীকে সংস্কার করতে চাই। তারজন্যই এই ডিপিআর তৈরীর ভাবনা।


প্রসঙ্গতঃ, এই গাড়ুই নদী প্রতি বছর বর্ষার সময় বৃষ্টির জলে ফুলেফেঁপে উঠে। তাতে শুধু রেলপার এলাকা নয়, আসানসোল শহরের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর এর মুল কারণ হলো, নদী দখল হয়ে যাওয়া। বলতে গেলে এই গাড়ুই নদী আসানসোল পুরনিগমের কাছে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *