আড়াই ঘণ্টা ধরে ফ্যাক্টরির গেট আগলে বিক্ষোভ, দাবি আদায় করা গেছে দাবি করল মঙ্গলপুর গ্রাম এলাকার যুব সদস্যরা
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ধরে ফ্যাক্টরির গেট আগলে বিক্ষোভ আন্দোলন করে দাবি আদায় করা গেছে, এমনই দাবি করল রানীগঞ্জের মঙ্গলপুর গ্রাম এলাকার যুব সদস্যরা। তারা সোমবার সকাল আটটা থেকে রানীগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্পতালুকে অবস্থিত শ্যাম সেল পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড ফ্র্যাক্টরি সামনে সূর্যের প্রবল তেজকে উপেক্ষা করে এলাকার অসংখ্য মহিলা, পুরুষদের সঙ্গে নিয়ে ফ্যাক্টরির গেট আগলে বিক্ষোভ দেখায়।
তারা এদিন দাবি করে অবিলম্বে স্থানীয় বেকার যুবকদের কারখানায় কাজে নিয়োগ করতে হবে, এর সাথেই তাদের দাবি, এলাকায় অর্থ সামাজিক কাজের নিরিখে যে সকল কাজ রয়েছে সেই কাজের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে কারখানা কর্তৃপক্ষকে। একই সাথে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এই সকল দাবি দাওয়া নিয়ে সোমবার দীর্ঘক্ষণ কারখানার গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় মঙ্গলপুর গ্রাম এলাকার অসংখ্য গ্রামবাসী।
তাদের দাবি তাদের গ্রাম লাগোয়া এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা গড়ে উঠলেও বহিরাগতদের এখানে কাজের নিয়োগ করা হলেও স্থানীয়দের নিয়োগ খুবই কম হয়েছে, তাই অবিলম্বে স্থানীয় বেকার যুবকদের কারখানায় কাজ দিতে হবে। এই দাবি করে তারা জানান তারা কারখানার জন্ম লগ্ন থেকেই এই কারখানা গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা করে আসছে। তাই কারখানায় আরো ইউনিট গড়ে উঠলে সেই সকল ইউনিটে স্থানীয় বেকার যুবকদের নিয়োগ করতে হবে, এই দাবিতে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। মহিলারাও এদিন তাদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে কারখানা গেটে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে।
সমগ্র এই বিষয়গুলি লক্ষ্য করে শেষমেষ কারখানা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলপুর গ্রামের ওই বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব দেওয়া সদস্যদের ডেকে, কারখানায় কর্মসংস্থানের জন্য স্থানীয় এলাকা মঙ্গলপুর, বক্তানগর, রোনাই অঞ্চলের ১৫ জন সদস্যকে কাজে নিয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দেন বলেই জানিয়েছেন এদিনের বিক্ষোভরত যুব সদস্যরা। সোমবার এই আশ্বাসের পরই তারা আশ্বস্ত হয়ে, তাদের বিক্ষোভ আন্দোলন তুলে নেয়। তারা এদিন দাবি করে শ্যাম সেল পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড এর মতোই অন্য সকল কারখানা গুলিতেও এভাবে স্থানীয়দের নিয়োগ করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে, স্থানীয় এলাকার বেকার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। যা নিয়ে অন্য কারখানাগুলিকে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি ও করেন তারা।