ASANSOL

বাড়িতে একা থাকা বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার , মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন , শহরে চাঞ্চল্য, খুনের অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* বাড়িতে একা থাকা এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হলো। মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার জিটি রোড লাগোয়া সূর্য সেন পার্কে। মৃত বৃদ্ধার নাম আলপনা রায় (৬৮)। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বৃদ্ধার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। তাতে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে বৃদ্ধার মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বৃদ্ধার মাথায় ভারী কোন জিনিস দিয়ে মারা হয়েছে। তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে কোন এক সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে। বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে, এমন অনুমান করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই পুলিশ দিল্লিতে থাকা বৃদ্ধার ছেলেকে ঘটনার কথা জানায়। তিনি আসানসোলে আসছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে পুত্রবধূ কলকাতায় থাকায় তিনি ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোলে ছুটে আসেন।


জানা গেছে, আসানসোল শহরের জিটি রোড লাগোয়া অন্যতম অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত সূর্য সেন পার্কে আলপনা রায় নিজের দোতলা বাড়িতে বেশ কয়েক বছর ধরে একাই থাকতেন। বৃদ্ধার স্বামী প্রয়াত বিধান চন্দ্র রায় এলআইসি বা জীবন বিমা কর্পোরেশনের কর্মী ছিলেন। তার ছেলে সনৎ রায় কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন আলপনা রায়ের ব্যালকনির দরজা খোলা রয়েছে। তারা ডাকেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে তারা ঢুকে দেখেন বৃদ্ধা ঘরের মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে আছেন মাথা দিয়ে রক্ত বেরোনোর দাগ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা আসানসোল দক্ষিণ থানার পিপিতে খবর দেন। পুলিশ এলাকায় ছুটে আসে। পরে পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও একাধিকবার ঐ ব সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।


জানা গেছে, বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার সময় ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিলো। আলমারিও খোলা ছিলো। এরপরে পুলিশ ছেলেকে খবর দেয়। পাশাপাশি পুলিশ বৃদ্ধার বাড়ির আশপাশের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছে।
জানা যায়, ঐ বৃদ্ধাকে সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতে ও ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বেশ কয়েকজন এলাকার বাসিন্দা।বৃদ্ধার বাড়ির উল্টোদিকের একটি আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষী ইন্দ্রদেব পাল এদিন বিকেলে বলেন, ঠিক কি হয়েছে বলতে পারবো না। এদিন সকালে এলাকার বাসিন্দারা ঐ বৃদ্ধার বাড়ির ব্যালকনির দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। তারপর দেখা যায় তিনি ঘরের মধ্যে পড়ে আছেন। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বৃদ্ধার মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তার ছেলেকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি এলে বিস্তারিত জানা যাবে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *