ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জে হার্ডওয়ার দোকানে আগুন

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : এবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এর হাত থেকে পরপর তিনটি ফায়ার এক্সটিঙ্গুইসের (fire extinguisher) বা অগ্নি নির্বাপক ব্যবহার করে বড়সড় অগ্নিকাণ্ড ঘটার হাত থেকে রেহাই পেল এক হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী। নিজের শোরুমে থাকা ফায়ার এক্সটিঙ্গুইসের ব্যবহারের সাথেই আশেপাশের ব্যাঙ্ক সংস্থা ও শোরুম গুলি থেকে, এই ফায়ার এক্সটিঙ্গুইসের, নিয়ে এসে সট সার্কিটের জেরে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণ করল, শো-রুমের কর্মী ও বাড়ির সদস্য সকলে। এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় রানীগঞ্জ দমকল বিভাগের একটি ইঞ্জিন। তবে তার আগেই, সকলে উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে, ওই অগ্নি নির্বাপক সামগ্রী ব্যবহার করে, দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন নিভিয়ে ফেলায়, রেহাই পেল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থেকে।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় রানীগঞ্জের এন এস বি রোড, যা বর্তমানে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়েছে, সেই জাতীয় সড়কের আই হসপিটাল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত, অমৃত মার্বেল নামের এক হার্ডওয়ার দোকানে হঠাৎই দুপুর আড়াই তে নাগাদ ওই শোরুমের বিদ্যুতের সুইচবোর্ডে কাজ করার সময় আগুন লেগে যায়, বিষয়টি লক্ষ্য করে ওই দোকানের কর্মী ও মালিক পাশাপাশি সেখানেই থাকা তার বাড়ির সদস্যরাও এ বিষয়ে লক্ষ্য করে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। কারণ যেখানেই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে তার আশেপাশেই রয়েছে ব্যাপক পরিমাণে প্লাইউডের সামগ্রী, যেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে গোটা শোরুম সহ বাড়ি একেবারে যতু গৃহে পরিণত হতে পারতো, এ বিষয় লক্ষ্য করে সকলেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।

ওই শোরুমের মালিক গণপত খেমকা, তার কর্মীদের আশেপাশের অংশে থাকা ব্যাঙ্ক ও অন্য সব শোরুমের মধ্যে ব্যবহার করা ফায়ার এক্সটিঙ্গুইসের, নিয়ে আসতে বললেই, তারা নিজের শোরুমের মধ্যে থাকা ফায়ার এক্সটিঙ্গুইসের চালু করে, আগুন নেভাতে থাকে, পরে অন্য সব ফায়ার এক্সটিঙ্গুইসের, ব্যবহারের পর, আগুন আসে নিয়ন্ত্রণে। যা দেখেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সবাই।এদিকে এই বিষয়টি সম্পর্কে রানীগঞ্জের ফায়ার ব্রিগেডে খবর দেওয়া হলে, সেখান থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে তৎপর হয়। হঠাৎ করেই এ ধরনের ঘটনা ঘটায়, হতচকিত হয়ে পড়ে সকলে। বহু উৎসুক জনগণ বিষয়টির লক্ষ্য করে ভিড় জমা এলাকায়, তবে তার মধ্যেই ফায়ার ব্রিগেডের টিম পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কর্মীদের দাবি উপস্থিত বুদ্ধির জেরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পাওয়া গেল।

Leave a Reply