SBSTC : ১৩ টি নতুন বাসের উদ্বোধন হবে, এবার সিএনজির ফিলিং স্টেশন

এসবিএসটিসির একসঙ্গে আসানসোল, দূর্গাপুর ও আরামবাগে বাসের উদ্বোধন

আসানসোল থেকে নতুন তিনটি রুটে আসানসোল – নবদ্বীপ, আসানসোল – পুরুলিয়া ও আসানসোল – কালনা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( SBSTC New Buses ) এবার নিজস্ব “ফিলিং স্টেশন” তৈরি করে সিএনজি বাস চালাবে দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বা সাউথ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন ( SBSTC )। আপাততঃ দূর্গাপুর ও আরামবাগে দুটি ফিলিং স্টেশন করা হয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের তিনটি ডিপো পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও দূর্গাপুর ডিপো এবং হুগলির আরামবাগ ডিপো থেকে নতুন সিএনজি বাস চালানো হবে বলে এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।


আজ শনিবার একযোগে আসানসোল, দূর্গাপুর ও আরামবাগ ডিপো থেকে নতুন ১৩ টি সিএনজি বাস চলাচলের শুভ সূচনা হবে। আসানসোলে এই তিনটি বাসের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। থাকার কথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ সহ অন্যদের। আসানসোল থেকে নতুন তিনটি রুটে তিনটি নতুন বাস চালানো হবে। সেগুলো হলো আসানসোল – নবদ্বীপ, আসানসোল – পুরুলিয়া ও আসানসোল – কালনা। দূর্গাপুর ও আরামবাগে ৫ টি করে মোট ১০ টি নতুন বাসের উদ্বোধন হবে শনিবার। দূর্গাপুরের অনুষ্টানে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ছাড়াও থাকার কথা আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ অন্যদের। আরামবাগের পঞ্চায়েত মন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল। দূর্গাপুর ও আরামবাগে পুরনো রুটেই এই সিএনজি বাস চালানো হবে বলে জানা গেছে। শনিবার একইসঙ্গে দূর্গাপুর ও আরামবাগে এসবিএসটিসির নিজস্ব সিএনজির ফিলিং স্টেশনেরও উদ্বোধন করা হবে। দূর্গাপুর ডিপোকে ” গ্রিন ডিপো “র তকমা দেওয়া হয়েছে। তারজন্য যা ক্যাটাগরি আছে তা করা হয়েছে। আসানসোলেও ফিলিং স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। দ্রুত তা শুরু করা হবে। পরবর্তী কালে এই ফিলিং স্টেশন করা হবে বর্ধমান, বাঁকুড়া ও কৃষ্ণনগরে।

riju advt


এদিন এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান আরো বলেন, টাটার কাছ থেকে আপাততঃ ১৪ টি সিএনজি বাস কেনা হয়েছে। তারমধ্যে শনিবার ১৩ টি তিনটি জায়গা থেকে চালু করা হচ্ছে। চলতি বছরে মোট ১২৫ টি সিএনজি বাস কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে এসবিএসটিসির বিভিন্ন রুটে ৭০০ টি বাস আছে বা চলাচল করে। গত দুবছরে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সংস্থার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ কমাতে পেরেছি। পাশাপাশি, আগে প্রতি কিলোমিটারে ২২/২৩ টাকা আয় হতো। এখন বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পন্থা অবলম্বন করে সেই আয় বাড়িয়ে ২৮/২৯ টাকা করা গেছে। তিনি বলেন, সংস্থার বাস চালানোর জন্য নতুন নতুন রুট খোঁজা হচ্ছে। বিশেষ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর গ্রামীণ এলাকায় নতুন রুটের খোঁজে সমীক্ষা করা হচ্ছে। আগে জঙ্গলমঙ্গল এলাকায় কোন বাস খারাপ হলে বা সারাই করতে হলে দূর্গাপুরে আনতে হতো। কিন্তু ঝাড়গ্রামে সংস্থার নিজস্ব ওয়ার্কসপ তৈরি করা হয়েছে। ফলে সেখানে বাসের রক্ষণাবেক্ষণের করা হচ্ছে। এতে সময়ও বাঁচছে ও খরচও কমছে। এ
এসবিএসটিসির চেয়রাম্যান বলেন, নানা ধরনের নতুন নতুন ভাবনা ও পরিকল্পনা করে সংস্থাকে আরো ভালো করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *