ASANSOL

নকল তৈরির অভিযোগ, সিমেন্ট কারখানায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হানা, গ্রেফতার এক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল দক্ষিণ থানার পিপির অন্তর্গত বড়ধেমো এলাকায় একটি সিমেন্ট কারখানায় অন্য কোম্পানির নামে সিমেন্ট তৈরি করার একটি অভিযোগ প্রকাশ্যে এলো। মঙ্গলবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বা ইবি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঐ কারখানায় অভিযান চালায়। সেই অভিযানে কারখানা থেকে ৫ হাজারের মতো বিভিন্ন নামী সিমেন্ট কোম্পানির খালি বস্তা আটক করেন ইবির অফিসাররা। এছাড়াও এই অভিযানে কারখানায় মেশিন থেকে অন্য একটি কোম্পানির সিমেন্ট প্যাক করা আরো ৬ টি বস্তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য কোম্পানির নকল সিমেন্ট তৈরির অভিযোগে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ইবি।

ধৃতর নাম অখিলেশ কুমার যাদব। এই ঘটনায় সত্যনারায়ণ আগরওয়াল সহ আরো দুজনের বিরুদ্ধে ইবির অভিযোগের ভিত্তিতে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ একটি এফআইআর করেছে। এই দুজন ফেরার রয়েছে বলে পুলিশ ও ইবি সূত্রে জানা গেছে। ধৃত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮ ৪৬৯ ও ১২০/বি, কপি রাইট আইন ৬৩ ও ৬৫ এবং ট্রেডমার্ক আইন ১০৩ ও ১০৪ নং ধারায় মামলা করা হয়েছে।


ধৃতকে বুধবার আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ইবির অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, অমল ভট্টাচার্য, সুমন্ত সামন্ত ও মীনাক্ষী শ্রীবাস্তব।
পুলিশ ও ইবি সূত্রে জানা গেছে , আসানসোলের বড়ধেমোর ঐ সিমেন্ট কারখানায় বিভিন্ন নামী কোম্পানির নকল সিমেন্ট তৈরি করা হতো। এমন একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো একটি কোম্পানির তরফে। সেই মতো মঙ্গলবার আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বা ইবির অফিসাররা সেখানে অভিযান চালান। তখন সেখানে একটি কোম্পানির সিমেন্টের নামে নকল সিমেন্ট প্যাকেট করা হচ্ছিলো। এই রকম ৬ বস্তা সিমেন্ট ইবির অফিসাররা বাজেয়াপ্ত করেন। এরপর তল্লাশি করে ইবির অফিসাররা কারখানা থেকে একাধিক কোম্পানির ৫ হাজারের মতো খালি বস্তা খুঁজে পান। সঙ্গে সঙ্গে কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয় অখিলেশ কুমার যাদবকে।


এই অভিযানের খবরে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সিমেন্ট কারখানা মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে।
সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সভাপতি পবন গুটগুটিয়া বলেন, অ্যাসোসিয়েশন কখনও অন্যায়কে সমর্থন করে না। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *