ASANSOL

আসানসোল দক্ষিণ থানার পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতি পড়ুয়াদের সম্বর্ধনা দেওয়া হল


বেঙ্গল মিরর,আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় :
কয়েকদিন আগেই রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মেধাতালিকায় তেমনভাবে স্থান না থাকলেও আসানসোল শিল্পাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীরা ফল ভালই করেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকন্ঠমের নির্দেশে আসানসোল দক্ষিণ থানার পক্ষ থেকে দক্ষিণ থানার আওতাধীন এলাকার
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫ কৃতি পড়ুয়াকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলে দক্ষিণ থানায় কৃতিদের হাতে ফুলের তোড়া ও উপহার হিসেবে বই তুলে দেন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু। পাশপাশি ওই ৫ জন কৃতিকে সম্বর্ধনা জানানো হয়।



৫ জনের কৃতির মধ্যে সবাই মেয়ে। আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকার বাসিন্দা এই কৃতিরা হলো:
(১) প্রত্যুষা কোনার ( প্রাপ্ত নম্বর হলো ৫০০ এর মধ্যে ৪৮২, শতাংশের হিসেবে সে পেয়েছে ৯৬.৪%, উমারানি গড়াই মহিলা কল্যাণ গার্লস হাই স্কুল)। সে নর্থ বুধা কলোনির বাসিন্দা।
(২) সৃজিতা ঘোষ ( প্রাপ্ত নম্বর হলো ৫০০ এর মধ্যে ৪৭৭, শতাংশের হিসেবে সে পেয়েছে ৯৫.৪%, শান্তিনগর বিদ্যামন্দির )। সে রাসডাঙ্গা সুমথপল্লীর বাসিন্দা।
(৩) শ্রেয়সী দাস ( প্রাপ্ত নম্বর হলো ৫০০ এর মধ্যে ৪৭৭, শতাংশের হিসেবে সে পেয়েছে ৯৫.৪%, উমারানি গড়াই মহিলা কল্যাণ গার্লস হাই স্কুল)। সে রাহালেন, জিটি রোডের বাসিন্দা।
(৪) বৃষ্টি রায় ( প্রাপ্ত নম্বর হলো ৫০০ এর মধ্যে ৪৬৯, শতাংশের হিসেবে সে পেয়েছে ৯৩.৮%, শান্তিনগর বিদ্যামন্দির)। সে কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা।
(৫) অনুস্মিতা কর্মকার (প্রাপ্ত নম্বর হলো ৫০০ এর মধ্যে ৪৬৯, শতাংশের হিসেবে সে পেয়েছে ৯৩.৮%, উমারানি গড়াই মহিলা কল্যাণ গার্লস হাই স্কুল)। সে রাসডাঙ্গা সুমথপল্লীর বাসিন্দা।



এ বিষয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু বলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে ৫ জন আসানসোল দক্ষিণ থানার আওতাধীন এলাকার বাসিন্দা। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে আসানসোল দক্ষিণ থানার পক্ষ থেকে এই পাঁচজনকে সম্মানিত করা হলো। এলাকাবাসীর সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেও গর্ববোধ করছেন যে ৫ জনই মেয়ে। পাঁচ জনকেই শুভেচ্ছা জানান তিনি এবং তাদের ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল হোক এই আশা রাখেন তিনি।

বস্তুত এদিন বেঙ্গল মিররের পক্ষ থেকে কৃতিদের সাথে কথা বললে কেউ জিওগ্রাফি অনার্স কেউ ইকোনমিক্স অনার্স এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনেকেই সিভিল সার্ভিস ডব্লিউবিসিএস অথবা ইউপিএসসি দিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিক হতে চায় বলে জানায়। শিল্পাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সিভিল সার্ভিসের দিকে আগ্রহ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেটি বলাই বাহুল্য। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন
ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হেমন্ত দত্ত সহ অন্যান্যরা।

Leave a Reply