ASANSOL

গাছ কাটতে রাস্তা বন্ধ , বন্ধ বিদ্যুৎ সরবরাহ, রেলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ, চরম ভোগান্তি ও হয়রানির অভিযোগ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের তরফে গাছ কাটার জন্য আসানসোল স্টেশন রোড বন্ধ করা হয়। একইভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সরবরাহও। না, জানিয়ে বা কোন রকম মাইকিং ও প্রচার না করে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘন্টা আসানসোল শহরের জিটি রোড সংযোগকারী আসানসোল পুরনিগম লাগোয়া স্টেশন রোড বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্টেশন রোডের ১৩ নং মোড়, ভিআইপি রোড মোড় ও আসানসোল পুরনিগমের সামনে জিটি রোডের সংযোগকারী স্টেশন রোড মোড়ে সকাল নটার আগে থেকেই লোহার ব্যারিকেড দেওয়া হয়। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের সিদ্ধান্তে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে চরম ভোগান্তি ও হয়রানির মুখে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদেরকে। এদিন সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে আসানসোল পুরনিগমের সদর দপ্তর। জেনারেটর দিয়ে পুরনিগমের বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখা হয়েছিলো। রেলপারের দিক থেকে আসানসোল স্টেশনের সামনের রাস্তা দিয়ে যেসব পুর কর্মীরা পুরনিগমের সদর দপ্তরে আসেন, তাদের সমস্যা হয়। তাদেরকে এদিন ডিআরএম অফিসের সামনের রাস্তা দিয়ে হটন রোড মোড় হয়ে জিটি রোড হয়ে আসতে হয়েছে।


জানা গেছে, দুপুর তিনটের পরে গাছ কাটার কাজ শেষ হলে স্টেশন রোড গাড়ি চলাচল শুরু হয়। স্বাভাবিক হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।
আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঝড়বৃষ্টির সময় যাতে গাছের ডাল ভেঙে না পড়ে, তারজন্য গাছ কাটা হয়। কিন্তু রেলের উচিত ছিলো তা মাইকিং করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া। যতদূর জানি, তারা তা করেনি। ফলে যা হওয়ার তা হয়েছে। স্টেশন রোড বন্ধ করে দেওয়ায় সবার সমস্যা হয়েছে। যে সব মানুষ জিটি রোডের পূর্ব দিক ( যেমন রাহালেন, ঘাঁটিগলি ও তার আশপাশের বিস্তির্ণ এলাকা) থেকে স্টেশন রোড ও ট্রাফিক কলোনি হয়ে ১৩ নং মোড় দিয়ে স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসেন, তারা সমস্যায় পড়েছেন। তাদেরকে গাড়ি ছেড়ে হেঁটে স্টেশনে যেতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রেলের আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো। আশা করবো, আগামী দিনে এমন কাজ করার আগে রেল সতর্ক হবে।

riju advt


তবে এই নিয়ে রেলের কোন আধিকারিক কোন মন্তব্য করতে চাননি। যদিও, যারা রেলের হয়ে এই কাজ করছিলেন তারা বলেন, রেল ও রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়েছিলো। কোন দূর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য রাস্তা বন্ধ করা হয়েছিলো। রেল আধিকারিকদের নির্দেশেই তা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ, এদিন স্টেশন রোড বন্ধ থাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনেকটা ঘুরে ডিআরএম অফিসের সামনের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *