BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

রূপনারায়নপুর পুলিশ মৃত্যুর হাত থেকে এক শ্রমিককে ফিরিয়ে আনল

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য্য, আসানসোল। সালানপুর থানার রূপনারায়নপুরে কুয়ো ঝালাই করতে গিয়ে এক শ্রমিক তার ভেতরে প্রচন্ড গরমে ভয়ংকর অসুস্থ এবং প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত রূপনারায়নপুর পুলিশ ফাড়ির ওসির নেতৃত্বে সিপিভিএফ এর পুলিশ কর্মীরা, কুয়তে নেমে তাকে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচালেন।



এই মুহূর্তেই রূপনারায়নপুর এ ভয়ংকর জল কষ্ট চলছে ।সেই কথা মাথায় রেখেই সীমান্তপল্লীর বাসিন্দা সৌমেন দত্তের পরিবার তাদের বাড়ির কুয়োটিকে ঝালাই করার জন্য নামিয়েছিলেন বছর ৪৮ এর পাতলা মুরমু নামে একজন কর্মীকে। কুয়তে নামার পর তার হাত-পা অসার হয়ে আসছিল এবং প্রায় তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন কুয়োর নিচে। এই সময় উপরে যারা ছিলেন তারা তাকে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা শ্রী মূর্মুকে তুলে আনতে পারছিলেন না ।প্রচন্ড গরমে তার অবস্থা আরো কাহিল হতে থাকে ।

এই খবর পেয়েই রূপনারায়নপুর পুলিশের ওসি মইনুল হকের তৎপরতায় ঘটনার স্থলেই ছুটে যান সিভিক পুলিশ বিকাশ বাদ্যকর ,বোধন চন্দ্র মন্ডল ,মহেশ বাউরী এবং পুলিশ ফাঁড়ি র আরো দুই অস্থায়ী কর্মী। তারা সেখানে গিয়ে দ্রুত দড়ির সাহায্যে নিচে নেমে পাতলা মুরমু কে উপরে তুলে আনেন। প্রাথমিকভাবে তাকে শুশ্রূষা করে তার জ্ঞান ফিরে আসে এবং পুলিশ তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে। তাকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনায় স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের এই কাজের ভুওসী প্রশংসা করেন। যেভাবে একজন মানুষকে কমিউনিটি পুলিশের কর্মীরা বাঁচালেন তার জন্য এদিন রাতেই পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে সামাজিক সংগঠন ভাবনার সভাপতি বিশ্বদেব ভট্টাচার্য সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব মন্ডল। এবং দুই সহ সম্পাদক অভয় মন্ডল ও রাজা চ্যাটার্জী এবং নিরাপদ পাল। তাদের মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
প্রসঙ্গত কদিন আগেই রূপনারায়নপুরের ৬০ ফুট গভীরে এক জলহীন কুয়ো থেকে চব্বিশ ঘন্টা পরে এক বিড়ালকে উদ্ধার করেছিলেন স্থানীয় এক পর্বতারোহী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *