BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

চার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে শাসক দলের প্রার্থী, বিতর্ক

বেঙ্গল মিরর, বারাবনি ও আসানসোল, মনোজ শর্মা ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের মহিলা প্রার্থী। তার নিজের নাকি নিরাপত্তা নেই। তাই তিনি নিজের চারজন “ব্যক্তিগত দেহরক্ষী বা বাউন্সার” নিয়ে ঢুকে পড়লেন একবারে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কেন্দ্রের মধ্যে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পঞ্চম দিন বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বারাবনি ব্লকের বিডিও অফিসে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় বিতর্ক তৈরী হয়েছে। ঐ প্রার্থীর নাম সোনি মিশ্র। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো মনোনয়ন পত্র জমা দিতে মনোনয়ন কেন্দ্রে ঢোকার অধিকার রয়েছে প্রার্থীর সঙ্গে একজন প্রস্তাবকের। গেটে ডিউটি থাকা পুলিশ কর্মীরা যথাযথ পরিচয়পত্র দেখে ভেতরে ঢোকাবেন। এক্ষেত্রে এদিন পুলিশের সামনেই সোনি মিশ্রর সঙ্গে তার চারজন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সটান ভেতরে ঢুকে যায়। পরে পাহারায় থাকা পুলিশ কর্মীরা বুঝতে পারেন যে, একটা ভুল হয়েছে। এরপর তড়িঘড়ি ঐ চারজনকে বাইরে বার করে নিয়ে আসেন। তবে তাদের চোখ এড়িয়ে কি করে এই চারজন শাসক দলের প্রার্থীর সঙ্গে ভেতরে ঢুকে গেলো, তা নিয়ে পুলিশ কর্মীরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।


পুলিশ ও প্রশাসনের দুই আধিকারিক বলেন, কি করে এটা হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনায় সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। তারা বলেন, শাসক দলের প্রার্থী ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার কি অবস্থা।
জানা গেছে, আসানসোলের কন্যাপুরের বাসিন্দা সোনী দেবীর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা এলাকায় সিপিএম সমর্থক বলে পরিচিত।
সোনি মিশ্রকে দলের প্রার্থী করা হয়েছে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বলে বারাবনি ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব স্বীকার করেন। তবে তিনি কাদের সঙ্গে করে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বিডিও অফিসে ঢুকেছিলেন, তা জানা নেই বলে শাসক দলের ব্লক সভাপতি অসিত সিং এদিন জানান। তিনি বলেন, ওটা দেখার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের।


এদিন আসানসোলের বারাবনি ব্লকের নুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন সোনি মিশ্র নামে শাসক দলের এক মহিলা প্রার্থী। তিনি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন চারজন কালো পোশাক পড়া দেহরক্ষী। চারজনের মধ্যে দুজন মহিলা ছিলেন। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কেন্দ্রে কিভাবে তারা ঢুকলো, তা জানাজানি হতেই পুলিশ তার দেহরক্ষীদেরকে বার করে আনে।
এই ব্যাপারে সোনি মিশ্রর সঙ্গে কথা বলা হলে প্রথমে তিনি জানান, চারজনই তার দেহরক্ষী। তার পেছনে পেছনে ঢুকে পড়েছে। তিনি বলেন, আমার নিরাপত্তার জন্য তারা আছে। কিন্তু বিতর্ক তৈরী হয়েছে বুঝতে পারতেই সোনি মিশ্র বলেন, আর কিছু বলবো না। এরপর তিনি সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে বেরিয়ে যান।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *