ASANSOL

জেলার পঞ্চায়েতে তিন স্তরেই শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ লড়াইয়ে সিপিএম, ঠিক পরেই বিজেপি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Panchayat Election Nomination News ) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৮ টি ব্লকে পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই লড়াইয়ে কারা কোন জায়গায় রইলো, তা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গেছে।
জেলা নির্বাচন দপ্তরে সূত্রে বুধবার পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলার ১৮ টি আসনে লড়াইয়ে জন্য শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের ১৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। এই ১৮ জনই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। বিজেপি ১৮ আসনে ১৮ জন প্রার্থী লড়াইয়ে রয়েছেন। যদিও বিজেপির হয়ে মোট ২৪ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, বামফ্রন্টের তরফে সিপিএম ১৮ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। তাদের ১৭ জন প্রার্থী রয়েছে। কংগ্রেস জেলা পরিষদের ১৮ আসনের মধ্যে মাত্র ১০ জন প্রার্থী দিতে পারে। জেলা পরিষদে ৪ জন অন্যান্য প্রার্থী রয়েছে। জেলা পরিষদের ১৮ আসনে বৈধ প্রার্থী মোট ৬৭ জন। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন ৭৩ জন।
জেলা পরিষদে শাসক দলের সঙ্গে বিরোধী দলেরা লড়াই দেওয়ার জায়গায় থাকলেও বাকি দুই স্তরে বিরোধীদের অবস্থাটা খুব একটা ভালো নয়।


পঞ্চায়েত সমিতির ১৭২ আসনে ১৭২ জন প্রার্থী রয়েছেন। সমিতিতে শাসক দলের তরফে মোট ২০১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এরপর রয়েছে সিপিএম। তাদের ১৫৩ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও, চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন ১৪৩ জন। একইভাবে, বিজেপির তরফে ১৩৪ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু লড়াইয়ে রয়েছেন ১১৪ জন। সমিতিতে ১৭২ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের হয়ে মাত্র ১৩ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে আছেন ১০। ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ জন প্রার্থী পঞ্চায়েত সমিতির লড়াইয়ে আছেন। নির্দল বা অন্য কোন প্রার্থী পঞ্চায়েত সমিতিতে নেই। এই স্তরে সবমিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা ৪৫৯ জন। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন ৫১১ জন।


গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০২০ আসনে স্বাভাবিক ভাবেই শাসক দলের ১০২০ জন প্রার্থী রয়েছেন। মোট ১১৩৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। অনেকটা পেছনে সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থীর সংখ্যা ৬৫৪ জন। ৭৫১ জন সিপিএমের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এরপরে বিজেপির প্রার্থী রয়েছেন ৪৭২ জন। বিজেপির ৫৩৫ জন মনোনয়ন জমা দেন। পঞ্চায়েত সমিতির মতোই গ্রাম পঞ্চায়েতে খারাপ অবস্থা হাতের। সবমিলিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী ৪১ জন। মনোনয়ন জমা দেন ৫০ জন। গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের থেকে নির্দলের প্রার্থী সংখ্যা বেশি। নির্দল প্রার্থী রয়েছেন ৫৬ জন। জানা গেছে, নির্দল প্রার্থীর মধ্যে বেশির ভাগটাই শাসক দলের গোঁজ বা বিক্ষুব্ধ রয়েছেন। দলের প্রতীক না পেয়ে তারা লড়াইয়ে থেকে গেছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্যান্য ও ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ২০ ও ৪ জন। জেলার ৮ টি ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০২০ আসনে মোট প্রার্থী ২২৬৭ জন। মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন মোট ২৮২৮ জন।


সরকারি ভাবে জানানো না হলেও, শাসক দলের তরফে দাবি করা হয়েছে ৮ টি ব্লকের অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। বিরোধী দলের তরফে আগেই বলা হয়েছে, শাসক দলের হুমকি, চাপ ও সন্ত্রাস সামাল এই সংখ্যায় প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ানো সম্ভব হয়েছে। যদিও শাসক দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, জেলায় একবার শান্তিতে মনোনয়ন পর্ব মিটেছে। বিরোধী দলগুলোর কোন সংগঠন নেই। নিজেদের ব্যর্থতা অন্যের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *