ASANSOL

পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু মহিলার, দেহ নিয়ে ক্ষতিপূরণ ও শাস্তির দাবিতে জিটি রোড অবরোধ, বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার শহরে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol Live News Today )পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধুন্ধুমার কান্ড ঘটলো আসানসোল শহরে। আসানসোলের জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড় ও আসানসোল দক্ষিণ থানা(পিপি)র সামনে এ্যাম্বুলেন্সে মহিলার দেহ রেখে শাস্তি ও ক্ষতি পূরণ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তা অবরোধ করা হয়। পুলিশকে ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত ও অন্য সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পরে অবরোধ বিক্ষোভ উঠে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শুরু হয় গাড়ি চলাচল। আসানসোল দক্ষিণ থানার কালিকাপুরের সায়ের পাড়ার বাসিন্দা মৃত মহিলার নাম কল্যানী বাউরি ( ৩৫)।


জানা গেছে, কল্যানী বাউরি বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন। তার ছোট ছোট দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। তিনি অন্যদিনের মতো গত ২৬ জুন সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কাজের জন্য বেরোন। কিন্তু দুপুর দুটো পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাননি তিনি। এরপর বাড়ির লোকেরা তার খোঁজ শুরু করেন। তারা এরপর ভগৎ সিং মোড় এলাকায় এসে জানতে পারেন যে, সকালে এখানে একটি বেসরকারি ল্যাবের সামনে রাস্তা পার করা এক মহিলাকে পুলিশের গাড়ি ধাক্কা মারে। তাকে আহত অবস্থায় ভগৎ সিং মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তারপর সেখান থেকে তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর তারা আসানসোলে জেলা হাসপাতালে এসে দেখেন আহত মহিলাই কল্যানী বাউরি। পরের দিন মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যরা তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে দূর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।


এরপর সন্ধ্যা ছটার পরে পরিবারের সদস্যরা কল্যাণী বাউরির দেহ এ্যাম্বুলেন্সে আসানসোলে এনে আসানসোল দক্ষিণ থানার ( পিপি) সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকশো মানুষ গোটা এলাকায় বিক্ষোভে সামিল হওয়ায় ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী ছুটে আসেন। রাস্তা অবরোধ জেরে ভগৎ সিং মোড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মৃত মহিলার আত্মীয় রাম বাউরি ও দিয়া বাউরি বলেন, ঘটনার কথা পুলিশ আমাদের জানায়নি। আমরা খোঁজ করে সব জেনেছি। মহিলার তিনজন ছোট ছেলেমেয়ে আছে। তাদের কি হবে? আমাদের দাবি, যে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তার চালককে শাস্তি দিতে হবে, সৎকারের খরচ সহ ক্ষতি পূরণ ও একজনকে চাকরি দিতে হবে।
শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় আলোচনায় পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সব দাবি মেনে নেয়। এরপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Leave a Reply