তৃণমূল কংগ্রেসের ৪৯ জন ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড, দলের বিরোধিতা করে নির্দল প্রার্থী
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol News Today ) পঞ্চায়েত নির্বাচনের দুদিন আগে বা প্রচার শেষের পরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৮ টি ব্লকের ৪৯ জন তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হলো। এদেরকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা ও পঞ্চায়েত স্তরের বেশি কিছু নেতাকে সতর্ক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসানসোলের জিটি রোডের রাহালেন মোড় সংলগ্ন তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এই সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন তরফে দাসু, জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, বিধায়ক হরেরাম সিং ও মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়।
জেলা সভাপতি বলেন, যে ৪৯ জনকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তারা দল বিরোধী কাজ করে দলের ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। তাদেরকে আগেই দলের তরফে বার্তা দিয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা তা করেননি। এরা সবাই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হয়েছেন। ৪৯ জনের মধ্যে ১৪ জন বিদায়ী নির্বাচিত সদস্য রয়েছেন। তারা জেলার অন্ডাল ও জামুড়িয়া ব্লকের। তিনি আরো বলেন, আমড়াসোঁতা গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌতম দাস দলের বিরোধিতা করে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি এদিন আমার সঙ্গে দেখা করে নিজের ভুল বুঝতে পেরে নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে এসেছেন। লিফলেট দিয়ে তিনি এলাকায় তা জানিয়ে দলের প্রার্থীর সঙ্গে আছেন বলে জানাবেন। তাই তার বিরুদ্ধে দল কোন পদক্ষেপ এই মুহুর্তে নিচ্ছে না। জেলা সভাপতি বলেন, আরো কিছু জেলা ও ব্লক স্তরের নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন। তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। তাদের উপর দলের তরফে নজরও রাখা হচ্ছে।
নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে কেউ যদি জেতে, তাহলে তাকে কি দলের আবার ফিরিয়ে নেওয়া হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে জেলা সভাপতি বলেন, কোন প্রশ্নই নেই। এমন যদি, হয় সংখ্যার জন্য দল পঞ্চায়েত দখল নিতে পারছে না? তাহলে? সেক্ষেত্রে দল বিরোধী আসনে বসবে। কোন অবস্থাতেই দল পিছিয়ে আসবে না। এমনই দলের সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশ আছে।
এদিন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ১০০ দিনের কাজ ও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দলকে আক্রমন করেন। তিনি বলেন, ঐ দলের নেতারা বলছেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঐ টাকা দেওয়া হবে। তাহলে এটাই প্রমাণিত হয় যে, ঐ দলের সাংসদ ও নেতারা দিল্লিকে বলে এইসব টাকা আটকে রেখেছে। বাংলার মানুষেরা এর জবাব ভোটে দেবেন।