সিপিআইএম ও বিজেপি প্রার্থীদের স্বামীদের মারধর করার অভিযোগ, প্রতিরোধ বাহিনীর তাড়াতে তারা বুথ ছেড়ে চম্পট
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ: রানীগঞ্জ ব্লক অন্তর্গত আসানসোল দক্ষিণের তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হারাভাঙ্গা ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের 140, 141 ও 142 নম্বর বুথে সিপিআইএম ও বিজেপি প্রার্থীদের স্বামীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মহিলা প্রার্থীদের ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি করে তারা। শনিবার সকাল থেকে নির্বাচন শুরুতেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে হানা দেয় ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে গেলে বিজেপি ও সিপিআইএম কর্মীরা তাদের বাধা দেয় বলে দাবি করে তারা। সিপিআইএমের নির্বাচনী এজেন্ট তথা প্রার্থী ময়না কর্মকারের স্বামী কল্লোল কর্মকার জানান শাসকদলের কিছু দুষ্কৃতি এসে পরিবেশ উত্তপ্ত করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। বাম পোলিং এজেন্ট এর কলার ধরে, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সীমানার বাইরে বের করে দেওয়া হয়। বিজেপি প্রার্থী ছন্দা গোপের স্বামী নির্মল গোপ দাবি করেন, অশ্লীল ভাষায় মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ করা হয়েছে, কল্লোল বাবুর অভিযোগ প্রার্থীদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করারও হুমকি দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি এজেন্ট নির্মল কর্মকারের দাবি, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল কে ফোন করে জানানো হলে পুলিশ পাঠিয়েছেন ও পরিস্থিতি এখন শান্ত হলেও আবারো অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের বলেই জানিয়েছেন।




যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট অভিজিৎ খার, দাবি শাসক দলের তরফে এরকম কোন হুমকি দেওয়া হয়নি, বিরোধীরা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা অভিযোগ করছে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে ও নির্বাচনও শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ দখল রুখতে সরব হল সিপিএম, অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বুথ দখল করতে এলে প্রতিরোধ বাহিনীর তাড়াতে তারা বুথ ছেড়ে চম্পট দেয়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা অন্তর্গত রানীগঞ্জ ব্লকের জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের, চলবলপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে বুথ দখল করতে আসে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে দাবি, কিন্তু সিপিআইএমের তরফে কর্মী ও সমর্থকেরা প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলে দুষ্কৃতিদের তাড়িয়ে দেয় সিপিআইএমের এক কর্মীর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্পিতিরা লাঠির লোহার রড বন্দুক নিয়ে এসে 237 নম্বর বুথে বাম প্রার্থী মধুসূদন লাইকের ওপর অত্যাচার করা হয়।
তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয় বুথ থেকে, এরপরে বাম কর্মী ও সমর্থকেরা প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলে। পরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাধ্য হয় পিছু হটতে। সিপিআইএমের এক কর্মী দাবি করেন কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও বুথে কোন কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, রাজ্য পুলিশের দু-একজন কর্মী আছে। সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা দাবি করে শাসক দল হেরে যাওয়ার ভয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, তাদের দাবি উন্নয়ন যদি হয়ে থাকে তাহলে ভয় কেন জনগণকে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দান করতে দিক, উন্নয়ন হলে জনগণ শাসকদলের পাশে অবশ্যই থাকবে বলে দাবি করে, সিপিআইএমের নেতৃত্ব ও কর্মীরা।