গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু যুবকের, পৃথক তিনটি ঘটনা, এক বৃদ্ধা সহ তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
বেঙ্গল মিরর, বারাবনি ও আসানসোল, মনোজ শর্মা ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* রাস্তা পারাপার করার সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হলো এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আসানসোলের বারাবনি থানার বারাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্টেশনপাড়া কাঁঠালতলার কাছে। মৃত যুবক কেটিয়া সোরেন ( ২৭) বারাবনি থানার ভানোড়া খাসকুঠি হাটতলা পাড়ার বাসিন্দা। এদিন সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ কেটিয়া সোরেন বারাবনি স্টেশন পাড়া কাঁঠালতলার কাছে রাস্তা পারাপার করছিলো। সেই সময় হঠাৎই একটি কোন গাড়ি ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। স্থানীয় মানুষেরা বারাবনি থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বাড়ির লোকেরা জেলা হাসপাতালে ছুটে আসেন।



ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধর
রেললাইন পার করার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হলো এক বৃদ্ধর। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের রানিগঞ্জ স্টেশনের কাছে। রানিগঞ্জ থানার পুরাতন এগরার বাসিন্দা মৃত বৃদ্ধর নাম রামনিবাস মন্ডল (৭৫)। শনিবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বৃদ্ধর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে রানিগঞ্জ স্টেশনের কাছে রেললাইন পার করছিলেন রামনিবাস মন্ডল। সেই সময় কোন ট্রেনে তিনি কাটা পড়েন ও ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রেল পুলিশের তরফে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল, জামুড়িয়া ও বার্ণপুরে গত ৪৮ ঘন্টায় পৃথক তিনটি ঘটনায় এক বৃদ্ধা সহ তিনজনকের গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা তিনটি ঘটেছে শুক্রবার ও শনিবার সকালে। মৃতরা হলো আসানসোলের জামুড়িয়া থানার ভুতবাংলোর রাজেশ মাহাতো (৩৩), আসানসোল দক্ষিণ থানার মেনধেমোর পার্বতী দেবী (৬৭) ও হিরাপুর থানার বার্ণপুরের বৈষ্ণববাঁধের অজিত রাউত (২৮)। শুক্রবার বিকেলে অজিত রাউত এবং রাজেশ মাহাতো ও পার্বতী দেবীর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত শনিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজেশ মাহাতো ও পার্বতী দেবীকে শনিবার সকালে ও অজিত রাউতকে শুক্রবার ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাড়ির লোকেরা। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, তিনজনই কোন কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণেই তারা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। এই তিনটি ঘটনায় আলাদা করে তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।