জামুরিয়ায় দুই বড় শিল্প কারখানা বনদপ্তরের জমি দখল করে সম্প্রসারণ করছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য্য : আসানসোল ।জেলা জুড়ে জমি মাফিয়া দের নিয়ে বারবার রাজনৈতিকভাবে নানান অভিযোগ উঠেছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই আসানসোল মহকুমার জামুরিয়ায় দুই বড় শিল্প কারখানা বনদপ্তরের জমি দখল করে সম্প্রসারণ করে চলেছে। এই অভিযোগেরও তদন্ত শুরু হয়েছে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে। এমনকি জামুড়িয়া থানায় দুটি কেস হয়েছে। আর এরই মাঝে বন দপ্তরের কর্মীরা পাণ্ডবেশ্বরের বিলপাহাড়ি এলাকায় তাদের নিজস্ব জমিতে গাছ লাগাতে গিয়ে দেখেন সেই জমির একটি বড় অংশে ইসিএল বহুতল আবাসন বানিয়ে ফেলেছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে বনদপ্তর। এই তদন্তে উঠে আসে সেখানকার ৫৭১ নম্বর খতিয়ানের জেএল নম্বর দুইয়ের আওতাভুক্ত ৫৫.৪২ হেক্টর জমির মালিকানা আজও রাজ্য সরকারের ডিএফও দুর্গাপুরের বনদপ্তর নামে নথিভুক্ত আছে। কাগজে-কলমে এখানের বেশ কয়েক একর জমি জুড়ে ইসিএল তাদের কর্মীদের জন্য বহু তল আবাসন তৈরি করে ফেলেছেন।
রাজ্য বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানান এই অভিযোগ পাওয়ার পর দুর্গাপুরের ডিএফও একটি বিশেষ তদন্তকারী দল সেখানে পাঠায় এবং তার ভিত্তিতেই তাদের নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে কোন ইতিবাচক উত্তর না আসায় আমি তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়ে কলকাতা থেকে আরেকটি নোটিশ দিয়েছি ।কিভাবে বনদপ্তরের জমি তাদের হাতে এলো এবং এই রকম জমির মালিকানার কোনো পরিবর্তন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে কখনো হয়েছিল কিনা । আমরা ওদের একমাস সময় দিয়েছি নোটিশের উত্তর দেওয়ার জন্য ।এই সংক্রান্ত কাগজপত্র ওদের কাছেই থাকার কথা ।যদি শেষ পর্যন্ত দেখা যায় যে বনদপ্তরের জমিতেই সরকারি অনুমোদন ছাড়াই এটা হয়েছে তাহলে সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসিএলের পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার ল্যান্ড রেভিনিউ এস্টেটের এক অফিসার বলেন বিলপাহাড়িতে আমাদের বেশ কিছু আবাসন তৈরি হয়ে আছে ওই মৌজার এবং দাগ নম্বরের জমিতে ।তার পরিমাণ এক হেক্টর মত হবে ।বাকি জমিটা ফাঁকা আছে ।আমাদের দুর্গাপুরের বনদপ্তর থেকে নোটিশ দিয়ে যেখানে আবাসন গুলি তৈরি হয়েছে সেই জমির কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল। এটাও সত্যি কাগজে-কলমে উনাদের কাছ থেকে আমরাও দেখেছি যে এই জমিটির বর্তমান মালিকানা ভূমি রাজস্ব দপ্তরের পোর্টালে ডি এফ ও দুর্গাপুর রাজ্য বনদপ্তর বলে চিহ্নিত করা আছে। আমাদের কাছে চেষ্টা করেও ওই জমির মালিকানা ইসিএলে হওয়ার নামে কাগজপত্র এখনো খুঁজে পাইনি। সেটা আমরা দুর্গাপুরের ডিএফওকে জানিয়েছিলাম।
তারপর কলকাতা থেকে সিএফও একইভাবে আমাদের নোটিশ পাঠিয়েচিলরন। আমরা পূর্ব বর্ধমানের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করেছি। কেননা সেই সময় দুই বর্ধমানের সদর ছিল বর্ধমান।পূর্ব বর্ধমানের থেকে সেই সময়কার যদি কোন কাগজ সংগ্রহ করতে পারি তাহলে সেটা নিয়ে আমরা বনদপ্তরে যাব। যেহেতু ওই আবাসনগুলি অনেক আগে তৈরি হয়েছে তাই হয়তো ঠিকঠাক কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। ওই এলাকায় বাকি যে জমি পড়ে আছে সেটা বনদপ্তরের এবং তারা সেখানে গাছও লাগিয়েছেন।
শনিবার্য বুদ্ধদেব মন্ডল জানান এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে ওদের কাছ থেকে ইতিবাচক কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। আমাদের দপ্তর থেকে তদন্ত চলছে।