ASANSOL

পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা পেশা এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার তথ্য চেয়ে পাঠালো জেলা নেতৃত্ব

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য্য, আসানসোল : পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ত্রিস্তরের পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা পেশা এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার তথ্য চেয়ে পাঠালো জেলা নেতৃত্ব। মনে করা হচ্ছে এই তথ্যের ভিত্তিতেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ,সহ-সভাপতি ,কর্মাধ্যক্ষ, এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন করা হবে। অতীতে এই ধরনের রাজনৈতিক নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জিতে আসা কোনও দলের জয়ী দের এমন ভাবে শিক্ষা বা রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।


এই তথ্যগুলি সবই রাজ্য স্তরে নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে ।এবার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে বলে শাসকদলের উচ্চ পদস্থ নেতৃবৃন্দ জানান । জানা গেছে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য থেকে জেলা পরিষদের জয়ী সকলের ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত যোগ্যতা রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং পেশার বিষয়টিও এই তথ্যের মধ্যে থাকছে।


পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তী বলেন আমরা এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠানোর কাজ শুরু করেছি। ফল ঘোষণার পরেই এই তথ্য আমরা একেবারে ব্লক স্তর পর্যন্ত চেয়ে পাঠিয়েছিলাম । শুধু তাই নয় এগুলি আমরা আমাদের জেলা স্তরেও ডাটাবেস তৈরি করার কাজ করছি। এর মূল উদ্দেশ্য কি হতে পারে তার উত্তর দিতে গিয়ে তিনি জানান পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচন থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি বা কর্মাধ্যক্ষ পদগুলির জন্য এই তথ্য বিশেষ গুরুত্ব পাবে। জয়ী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা তাদের রাজনৈতিক কার্যকলাপের অভিজ্ঞতা এবং পেশার বিষয়টিও অবশ্যই এবার পদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্যস্তরে গুরুত্ব পাবে বলে রাজ্যের এক তৃণমূলের প্রবীণ নেতা জানান।

নরেন বাবু বলেন আমাদের দলের সর্বভারতীয় স্তরের নেতৃবৃন্দ চাইছেন যাদের পদ দেওয়া হবে তাদের মধ্যে স্বচ্ছ বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। তিনি বলেন প্রায়ই শোনা যায় শিক্ষিত মানুষেরা রাজনীতিতে আসছেন না। আমরা কিন্তু দেখলাম আমাদের জেলাতে বহু শিক্ষিত পুরুষ এবং মহিলারা একেবারে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত সমস্ত স্তরে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এরা সরকারি প্রশাসনের অংশীদার হিসেবে সামাজিক উন্নয়ন এবং কাজ কর্মের ক্ষেত্রে একটা যোগ্য ভূমিকা নিতে পারবে।


তৃণমূলের আরেক রাজ্য নেতা ভি শিবদাসন বলেন যে পথে তৃণমূল পশ্চিম বর্ধমান জেলা এই কাজ করছে তাতে অবশ্যই আগামী দিনে এই দলের নির্বাচিত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা অবশ্যই স্থানীয় নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন। একই সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা বা পেশাগত বিষয় অথবা রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার নিরিখে যদি এইসব গুরুত্বপূর্ণ পদে দল যাদের নির্বাচন করবে তাদের প্রতি মানুষের হয়তো বিশ্বাস আরো বাড়বে। যারা এতদিন শুধু বাহুবলি হিসেবে দাপট দেখিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা সংশয় তৈরি হবে নতুন এই সিদ্ধান্তে বলে জয়ীদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন। এখন দেখার জয়ী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কে সামনে রেখে তাদের কতটা নির্বাচন করা যায় বিভিন্ন পদে।

Leave a Reply