DURGAPUR

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসনিক ভবনের সামনে বস্তিবাসীদের তুমুল বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, দুর্গাপুর : গত মাসের ১৯ তারিখ দুর্গাপুরের পলাশডিহা, তামলা, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড বা সেল উচ্ছেদের নোটিস দেয়। নয় নয় করে তিরিশ থেকে চল্লিশ বছর ধরে বেশ কয়েক হাজার মানুষ এই অঞ্চলগুলিতে বসবাস করেন। ভোট যখন আসে তখন পাট্টার লোভ দেখিয়ে এদের কাছ থেকে বাম আমলে বামেরা আর তৃণমূল জামানায় তৃণমূল ভোট নিয়েছে বলে অভিযোগ, একটা সময় সাদা পায়রা উড়িয়ে দিয়ে এই পলাশডিহা অঞ্চলে পাট্টার কথা বলেছিলো নেতারা। কিন্তু যা হওয়ার নয় সেটা হয়নি, কারণ জমি সেলের আর পাট্টা কি করে সেলের নো অবজেকশন ছাড়া নেতারা দিয়ে দেবে। দিন কয়েক আগে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিংহ আলুওয়ালিয়া ও দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না বলে হুশিয়ারিও দেয়। কিন্তু আতঙ্কে এখন হাজার হাজার মানুষ।

আজ পুনর্বাসনের দাবিতে হাতে দেশের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রশাসনিক ভবনের সামনে তুমুল বিক্ষোভে সামিল হলেন, হাতে বস্তি উচ্ছেদের প্ল্যাকার্ড নিয়ে আজকের এই বিক্ষোভে সামিল হন বস্তিবাসীরা। এদের অভিযোগ, জল আলো রাস্তা সব হয়ে গেছে এই এলাকা গুলিতে হয়েছে ভোটার আধার কার্ড আর আজ কিনা তারাই উচ্ছেদের মুখে দাঁড়িয়ে। পুনর্বাসন না পেলে তারা জমি ছাড়বেন না, প্রয়োজনে রাজনীতি ধর্মের উর্ধে উঠে তারা ধারাবাহিক আন্দোলনে সামিল হবেন।

আজকের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল, ছিল কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। আজও দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই এই অসহায় মানুষজনদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন, একই বার্তা তৃণমূল নেতৃত্বের, সুর চড়ালেন বাকি বিরোধীরা। চলতি বছর দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচন রয়েছে, সামনের বছর রয়েছে লোকসভা নির্বাচন, রাজনৈতিক মহল বলছেন, এটা ভোট রাজনীতির নতুন কোনো কৌশল নয় তো?? এরপর উচ্ছেদ নোটিস প্রত্যাহার হলে,কৃতিত্তের দাবি নিয়ে হবে রাজনৌতিক দলগুলির দড়ি টানটানি, কারণ ভোট যে বড় বালাই। আর এই যাঁতাকলে পড়ে গিয়ে নিরীহ অসহায় এই মানুষগুলো মাথা গোঁজার নিশ্চিত আশ্রয় আদপে থাকবে কিনা সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে, এরা তো জানেনা ভোট অংকের জটিল কাটাকুটির কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *