এক গৃহবধূ সহ চারজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, গাড়ির ধাক্কায় মোটরবাইক থেকে পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ মারুতি গাড়ির ধাক্কায় মোটরবাইক থেকে পড়ে মৃত্যু হলো এক বৃদ্ধার। শুক্রবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের সালানপুর থানার সালানপুর বিডিও অফিসের রাস্তায়। সালানপুর থানার জেমারির বাসিন্দা মৃত বৃদ্ধার নাম কল্যাণী বাউরি (৬০)। এদিন বিকেলে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বৃদ্ধার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে এক আত্মীয়র সঙ্গে মোটরবাইকে বাড়ি থেকে সালানপুর বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন কল্যাণী বাউরি। সালানপুর বিডিও অফিস রাস্তায় পেছন দিক থেকে একটি মারুতি গাড়ি সেই মোটরবাইকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে। তাতে কল্যাণী বাউরি মোটরবাইক থেকে পড়ে জখম হন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পিঠাইকেয়ারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জঙ্গল থেকে দুদিন নিখোঁজ থাকা যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক যুবকের গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত দেহ জঙ্গলে গাছ থেকে উদ্ধার হলো। শুক্রবার সকালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের কুলটি থানা এলাকায়। কুলটি থানার বৃন্দাধাওড়ার বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম সুরেন্দ্র টুডু (৪২)। শুক্রবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত কাউকে কিছু না বলে সুরেন্দ্র টুডু বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। শুক্রবার সকালে বাড়ির অদূরে একটা জঙ্গলে গাছে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় সুরেন্দ্রকে দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। তারা কুলটি থানায় খবর দিলে পুলিশ আসে ও মৃতদেহটি উদ্ধার করে তার আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সুরেন্দ্র টুডুর বাড়ির লোকেরা পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ঐ যুবক কোন কা মানসিক অবসাদে ভুগছিল। যে কারণে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে জঙ্গলের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তিনটি থানা এলাকায় চারটি পৃথক ঘটনায় এক গৃহবধূ সহ চারজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে তিনটি ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে ও একটি ঘটনা ঘটে শুক্রবার দুপুরে। মৃতরা হলো সালানপুর থানার রুপনারায়নপুরের এইচসিএল দেশবন্ধু পার্কের সুরজিৎ মন্ডল (২১), দূর্গাপুরের কাঁকসা থানার গৌরবাজারের পুজা মুখোপাধ্যায় (৩৪) ও জামুড়িয়া থানার বোগড়া নিচু ধাওড়ার সঞ্জিৎ পাসোয়ান (২০) এবং জামুড়িয়া রুইদাস পাড়ার বাপি রুইদাস (৩৭)। শুক্রবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে চারটি মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জামুড়িয়া রুইদাস পাড়ার বাসিন্দা বাপি রুইদাসকে শুক্রবার দুপুরে বাড়ির লোকেরা ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, শারীরিক সমস্যা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে এই যুবক মানসিক অবসাদে ভুগছিল। যে কারণে সে আত্মঘাতি হয়েছে।
অন্যদিকে, সুরজিৎ মন্ডল, পুজা মুখোপাধ্যায় ও সঞ্জিৎ পাসোয়ানকে বাড়ির লোকেরা বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, এই তিনজন পারিবারিক কারণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যে কারণে তারা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। চারটি ঘটনায় পুলিশ চারটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছে।