West Bengal

জাতীয় সড়কে দু’কিমি অন্তর ব্যারিকেড নয় নির্দেশ হাইকোর্টের

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়:: জাতীয় সড়কে এক থেকে দু’কিমি অন্তর ব্যারিকেড দেওয়া যাবে না। জাতীয় সড়কের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতায় কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এমনই নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।

ওই নির্দেশ দিতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, এই ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রকে আলোচনা করতে হবে। আলোচনার ফল কী হল তা মামলার পরবর্তী শুনানিতে তা জানাতে হবে। তবে অবিলম্বে এক থেকে দু’কিলোমিটার অন্তর যে ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে রাস্তার নিচ দিয়ে আন্ডারপাস বানানো যেতে পারে। অথবা ফ্লাইওভার বানিয়ে লোকজন পারাপারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, এইভাবে ব্যারিকেড দেওয়া জাতীয় সড়ক আইনের পরিপন্থী। এদিন বেহালার মৃত সৌরনীলের প্রসঙ্গ ওঠে হাই কোর্টে। তার প্রেক্ষিতে রাস্তায় চলাচলের বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও বারাসত থেকে কৃষ্ণনগরের মধ্যে রাস্তা তৈরির জন্য ফ্লাইঅ্যাশ (রাস্তার কাজে ব্যবহৃত কালো পাথর) দেবে বলেও এনটিপিসি দেয়নি বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, এনটিপিসির চেয়ারম্যানকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় ১৭ কিলোমিটার ও জলপাইগুড়ি বেনাগুড়ি ৫ কিলোমিটার এই দুটো জায়গায় মোট ২২ কিলোমিটার রাস্তা করার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। অবিলম্বে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে রাস্তার কাজ শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। যাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তার কাজ এগনো যায় সে ব্যাপারে জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয় দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলাকারী আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী আদালতে জানান, “বারাসত থেকে কৃষ্ণনগর রাস্তা তৈরিতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করা উচিত। যাতে পুজোর ছুটির আগে কাজ শেষ হয় সে ব্যাপারে যেন আদালত হস্তক্ষেপ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *