RANIGANJ-JAMURIA

জামুরিয়া শিল্প তালুকে কারখানার ঘটনা, ক্রেনের টায়ার ফেটে মৃত ১, জখম ৩

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ও জামুড়িয়া, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ক্রেনের টায়ার ফেটে মৃত্যু হলো একজনের। আহত হয়েছেন আরো ৪ জন। শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুড়িয়ার ইকড়া শিল্প তালুকে একটি বেসরকারি স্টিল ও পাওয়ার লিমিটেড কারখানায়। ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম লক্ষ্মণ কুমার ( ৩৫)। মৃত যুবক ঐ ক্রেনের চালক ছিলেন বলে জানা গেছে। কারখানায় ঐ ক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনজন গুরুতর আহত হয়। তিনজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ কারখানায় আসে। তারা ঐ কারখানার মালিক ও কতৃপক্ষের সঙ্গে ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে। পুলিশের তরফে মৃত যুবকের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির তরফে মৃত যুবকের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতি পূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে। কারখানা কতৃপক্ষের তরফে সন্ধ্যে পর্যন্ত ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয় নি। জানানো হয়েছে, একটা ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করা হচ্ছে।


জানা গেছে, আসানসোল পুরনিগমের ৮ নং ওয়ার্ডে ইকড়া শিল্প তালুকে মান স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি কারখানা আছে। এদিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ঐ কারখানার ভেতরে একটি ক্রেন দিয়ে কাজ করা হচ্ছিলো। ঐ ক্রেনের খালাসি সেই সময় সেখানে ছিলেন না। কোন সমস্যা হওয়া ক্রেনের চালক ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মণ কুমার টায়ার ঠিক করছিলেন। তার পাশে জনাতিনেক কর্মী সেই সময় ছিলেন। আচমকাই সেই টায়ার ফেটে যায়। বিকট শব্দ শুনে কারখানার আইএনটিটিইউসি শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) কর্মী বিদ্যুৎ গড়াই সহ অন্যান্যরা ছুটে আসেন। তারা দেখেন চালক সহ চারজন রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়ে কাতরাচ্ছেন। তারা সঙ্গে সঙ্গে কারখানার আধিকারিকদের খবর দেন। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় চালককে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য তিনজনকে দূর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে।


বিদ্যুৎ গড়াই বলেন, আমি সবার প্রথম গিয়ে কারখানার আধিকারিকদের খবর দিলে, তারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। আমি যে মারা গেছে, তাকে কেন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন? আগে সবাই আসুক, তারপর তা উঠবে। কিন্তু আমার কথা না শুনে কারখানার এক আধিকারিক গাড়ি এনে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায়। আমি সংগঠনের নেতাদের খবর দিলে তারা আসেন। খবর পেয়ে পুলিশও আসে।
পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *