ASANSOL

” শিল্পের সমাধানে জেলা শিবির ও কর্মশালা” র উদ্বোধনে মন্ত্রী মলয় ঘটক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোলে রবীন্দ্রভবনে এমএসএমই বা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের উদ্যোগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে শনিবার ” শিল্পের সমাধানে জেলা শিবির ও কর্মশালা ” র আয়োজন করা হয়। ” শিল্পের সমাধানে শিল্পোদ্যোগীদের দুয়ারে এমএসএমই ক্যাম্প ” শীর্ষক এই কর্মশালার প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, এখন আর রাজ্য স্তরে নয় আমাদের জেলাতেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের উদ্যোগে শিল্পাঞ্চলের ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোগীরা কি করে ঋণ পেতে পারেন বা কি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার পেতে পারেন তেমন একটি কর্মশালা এখানে হচ্ছে । এই কর্মশালায় বিভিন্ন শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের পাশাপাশি ইসিএল, ইস্কো সহ একাধিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।


মন্ত্রী আরো বলেন, সম্প্রতি আমার কাছে কয়লাখনির দুই ইউনিয়নে প্রতিনিধিরা এসে জানান ইসিএলের পাঁচটি কয়লা খনি বেসরকারিকরণ করা হয়েছে। আরো কয়লাখনির বেসরকারি সংস্থা হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর আগে বাম আমলে আসানসোলের সাইকেল কারখানা, পিলকিংটন কাঁচ কারখানা, ব্লু ফ্যাক্টরি ,ইন্ডিয়ান অক্সিজেন, অ্যালুমিনিয়াম কারখানার মত কারখানা বন্ধ হয়েছে।তখন প্রায়ই ধর্মঘট হতো। আর বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণস্ট্যান্ডার্ড কারখানা ও হিন্দুস্তান কেবলসের মতো কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ এই আসানসোল দুর্গাপুর ছিল একসময় দেশের অন্যতম সেরা শিল্পাঞ্চল।

গত ১১ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে একটিও শ্রম দিবস নষ্ট হয়নি। এখন শ্রমিকদের কোন সমস্যা হলে তা শ্রম দপ্তরের মাধ্যমেই আমরা দ্রুত সমাধান করি । কিন্তু একের পর এক যদি এইভাবে বেসরকারিকরন কয়লখনি হতে থাকে বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জন্য জিনিস দক্ষিণ ভারত থেকে বা পশ্চিম ভারত থেকে কেনা হয়, তাহলে এখানকার ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প গুলো কোথায় যাবে? শিল্প মার খাবে। ধাক্কা খাবে এই শিল্পাঞ্চলের অর্থনীতি। মন্ত্রী বলেন, এই কারণে আমি ইস্কো ও ইসিএল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব তারা যে ধরনের জিনিস কেনেন তা এখানকার সংস্থাগুলোকে বলে তৈরি করান ও তাদের থেকেই কিনুন। তাহলে অনেকেই কাজ পাবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এই শিল্পাঞ্চলে প্রায় ১৫০ টি ফায়ার ব্রিক্স কারখানা আছে। সেগুলো আগে আলাদা আলাদা পরীক্ষাগারে পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। এখন রাজ্য সরকার ওদের জন্য এখানে কমন ফেসিলিটি সেন্টার তৈরি করেছে। সেখানে যে একটিমাত্র পরীক্ষাগার আছে তাতে সকলেই উপকৃত হচ্ছে।


জেলাশাসক এস অরুন প্রসাদ বলেন, শিল্প উদ্যোগীদের ঋণের এখানে যেমন কর্মশালা হচ্ছে, তেমনি পড়ুয়াদের থেকে শুরু করে অন্যান্য যারা ঋণ পেতে পারেন তাদেরও এখানে আলাদা আলাদা করে কাউন্টার করা হয়েছে। শিল্পোদ্যোগীদের যদি অন্য কোন সমস্যা থাকে তাহলে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য তিনি আবেদন জানান। এই শিবির ও কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল, ডিপিআরডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *