ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতালের গাছে উঠলো মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, নামাতে দমকল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দ্বিতীয় ঘটনা। আসানসোল রেল স্টেশনের ওভারহেড বিদ্যুৎ খুঁটির পরে আসানসোল জেলা হাসপাতালের গাছে উঠলো মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল পড়ে যায় আসানসোল জেলা হাসপাতালের মর্গ সংলগ্ন এলাকায়। ডেকে আনতে হয় আসানসোল দমকল বাহিনীকে। দমকলকর্মীরা ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় ঐ ব্যক্তিকে ২৫ ফুটেরও বেশি উঁচু গাছের ডাল থেকে নামাতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা। এরপর ঐ ব্যক্তিকে আবার আসানসোল জেলা হাসপাতাল কতৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তবে আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভবনের ওয়ার্ড থেকে কি করে একজন রোগী বেরিয়ে গেলো, তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


জানা গেছে, এদিন ভোরবেলার দিকে ঐ ব্যক্তি ওয়ার্ড থেকে সবার চোখ এড়িয়ে বেরিয়ে যায়। পরে জানাজানি হলে, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে ধরতে গেলে সে হাসপাতাল চত্বরে মর্গের সামনে একটি গাছের উঁচু ডালে উঠে যায়। এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার সুজয় বসু বলেন, বৃহস্পতিবার আরপিএফ মানসিক ভারসাম্যহীন ঐ ব্যক্তিকে ভর্তি করে যায়। শুক্রবারও সে ওয়ার্ডে ইনজেকশন দেওয়া নিয়ে ঝামেলা করেছিলো। এদিন সকালে সে বেরিয়ে গিয়ে গাছে চেপে যায়।
আসানসোল দমকল বাহিনীর সাব অফিসার দেবেশ গরাই বলেন, ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় ল্যাডার দিয়ে গাছ থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ঐ ব্যক্তিকে আমরা নামিয়েছি।


প্রসঙ্গতঃ, দুদিন আগে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের পরে আসানসোল রেল স্টেশনের হাওড়া এন্ডে বা হাওড়া থেকে আসানসোল স্টেশনে ঢোকার মুখে ইয়ার্ডে একটি ওভারহেড বিদ্যুৎ খুঁটিতে চেপে যায় এই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। তড়িঘড়ি সব বিদ্যুৎ খুঁটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হয়। আরপিএফ ও রেল আধিকারিকরা তড়িঘড়ি এলাকায় ছুটে যান। ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় তাকে খুঁটি থেকে নামাতে সক্ষম হন আরপিএফের জওয়ানরা। সন্ধ্যা ছটার পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঐ ব্যক্তির কথাবার্তা অসংলগ্ন থাকায় ও ভাষা বুঝতে না পারায়, তাকে সেদিন সন্ধ্যায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো।

Leave a Reply