KULTI-BARAKAR

যৌনপল্লীতে নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ৭

বেঙ্গল মিরর, কুলটি , রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার লছিপুর যৌনপল্লীতে বৃহস্পতিবার রাতে কুলটি থানার নিয়ামাতপুর ফাঁড়ির পুলিশ একটি বিশেষ অভিযান চালায়। সেই অভিযানে পুলিশ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করে বলে নিয়ামতপুর ফাঁড়ি সূত্রে খবর।
আসানসোল পুরনিগমের স্থানীয় কাউন্সিলার জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এই যৌনপল্লীতে অসাধু দালালদের দৌরাত্বের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। রাত হলেই বহিরাগত বহু যুবক এই এলাকায় এসে জড়ো হয়। যারা এই যৌনপল্লীতে আসা গ্রাহকদের দালাল পরিচয় দিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে। একইসাথে এরা নানা প্রকার অসাধু কাজের সাথে জড়িয়ে থাকে।

বিশেষত পার্শ্ববর্তী রাজ‍্য ঝাড়খণ্ড থেকে কেউ এলেই এরা ফাঁদ পাতে । গোটা পরিকল্পনা ও পরিচালনা হয় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা একটি বেসরকারি হোটেল থেকে বলে কাউন্সিলারের দাবি। আগেই বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের সর্বস্তরেই জানানো হয়েছিলো। পুলিশের এই ধরনের অভিযান অনেক আগেই প্রয়োজন ছিল। এদিন এই অভিযান হলো, তাতে আমরা খুশি। স্থানীয় মানুষ হিসাবে আমাদের দাবি, যৌনপল্লীতে এই ধরনের অসাধু দালাল উৎখাত করতে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে। অন‍্যদিকে পুলিশের এই অভিযান নিয়ে যৌনকর্মীরাও খুশি।

তারা জানিয়েছেন, দালালদের অত‍্যাচারে আমাদের জীবন জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিদিন। এছাড়াও লছিপুর যৌনপল্লীর য‍ৌনকর্মীদের নামে নানা প্রকার কুৎসা ছড়িয়ে পড়ছে বাইরে । গ্রাহকরা অত্যাচার ও লুঠের ভয়ে এখানে আসতে চাইছেন না । এছাড়াও দালালরা যৌনকর্মীদের টাকা কম দিয়ে কাজ করতে বাধ‍্য করে। ধারাবাহিক ভাবে এইভাবে পুলিশের অভিযান হলে দালালদের খপ্পর থেকে আমরা মুক্তি পাবো।


তবে পুলিশ সূত্রে খবর ধৃত সাতজনই এই এলাকায় জড়ো হয়েছিল ছিনতয়ের উদ্দেশ‍্য নিয়ে। আগাম খবর পেয়ে এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে । ধৃতদের শুক্রবার আসানসোল আদালতে তোলা হয়। ঠিক কি কারনে এই সাতজন এই যৌন পল্লীতে এসেছিলো তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *